নতুন করে পৌনে দুই লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
চালের বাজার স্থিতিশীল করতে নতুন করে আরও ৫৭ ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
সোমবার (১ মার্চ) অনুমতির এই চিঠি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
এর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বাকিদের বরাদ্দের চাল আমদানি করে বাজারজাতের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
চাল আমদানি চলমান থাকলেও দেশের বাজারে দামে তা খুব একটা প্রভাব ফেলেনি বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হাবিবুর রহমান হোছাইনী জাগো নিউজকে বলেন, ‘যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলসি খুলতে পারেনি তাদের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করা হয়। এখন নতুন করে আবার আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।’
সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ ভাঙাদানাবিশিষ্ট বাসমতি নয় এমন সিদ্ধচাল শর্তসাপেক্ষে আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ১১ মার্চের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এলসি খোলা সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারককে এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে পুরো চাল বাজারজাত করতে হবে।
এছাড়া বরাদ্দে অতিরিক্ত আইপি (ইম্পোর্ট পারমিট) জারি বা ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা যাবে না। প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এসি খুলতে না পারলে বরাদ্দ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানি জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়।
>> যেসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ আমদানির অনুমতি পেল।
আরএমএম/বিএ/এএসএম