কারাগারে সাকা-মুজাহিদের সময় কাটছে যেভাবে


প্রকাশিত: ০৩:০৭ এএম, ২১ নভেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড রিভিউ খারিজের রায়ের কপি ইতোমধ্যে পড়ে শোনানো হয়েছে।

রায় শোনার পর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ খুবই স্বাভাবিক থাকলেও অস্থির রয়েছেন সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। কারা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি আরো জানায়, রায় শোনানোর পর থেকেই দুই আসামির কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী স্বভাবসুলভ আচরণে নেই। শুধু তাই নয়, তিনি বৃহস্পতিবার রাতে রায় শোনার পর থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনো খাবার খাননি। পরে কারারক্ষীরা অনেক অনুরোধ করে তাকে খাইয়েছেন। এর আগে দুপুরে কারা মসজিদে তারা দু’জনই জুমার নামাজ আদায় করেন। ওই সময় নামাজে অংশগ্রহণকারী সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা।

সূত্রটি জানায়, শুক্রবার দিনভর তাকে খুব বিমর্ষ ও চিন্তিত দেখা গেছে। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা নিয়ে সময়ক্ষেপণ করলেও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, যে কোনো মুহূর্তে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকারে ব্যস্ত থাকলেও শুক্রবার ফাঁসি মঞ্চের মাত্র ১০ থেকে ১২ গজ দূরে কনডেম সেলে অবস্থানরত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ছিলেন অন্য এক ব্যক্তি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৬ নম্বর কনডেম সেলে ৭ থেকে ৮ বর্গফুটের কক্ষে দিনের বেশিরভাগ সময় পায়চারি করেই কেটেছে এই বিএনপি নেতার। কিছুক্ষণ পরপর কনডেম সেলের শিক ধরে উদাস ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থেকেছেন তিনি।

অন্যদিকে, ব্যতিক্রম ছিলেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দিনের বেশির ভাগ সময় কোরআন শরিফ পড়েন মুজাহিদ।

জানা যায়, একজন কারারক্ষী সকাল ৭টার কিছু পরে তিনটি রুটি, গুড় এবং ডাল নিয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কক্ষে যান। এ সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামের বাড়ি কোথায়, কতদিন চাকরি করছেন এমনকি ক’জন ছেলেমেয়ে এসব কথাও তার কাছ থেকে তিনি জানতে চান।

এসকেডি/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।