বড় সিদ্ধান্ত নিতে কথা বলতে চেয়েছেন বাবা : সাকার ছেলে


প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর জীবনের বড় সিদ্ধান্ত (প্রাণভিক্ষা) নেয়ার বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। শুক্রবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সামনে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করে সাকার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম, সাকার দুই ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী ও হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ মোট পাঁচজন সাকার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন। তবে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেননি। কারাগারে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নেই বলে জানানো হয়।

এ সময় সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, এটা (প্রাণ ভিক্ষার আবেদন) আমার বাবার জীবনের অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার যখন আমরা কারাগারে যাই বাবা বলেছেন- এ বিষয়ে তিনি (সাকা) আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা সে সুযোগটি পেতে আবারো এসেছি।


তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় আমরা প্রাণভিক্ষার বিষয়ে নানান তথ্য পাচ্ছি। তাই আমরা চাচ্ছি বিষয়টি স্পষ্ট করতে, আইনজীবীদের যেন ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।

মিনিট দশেক কারাফটকে অপেক্ষার পর কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া না পাওয়ায় ফিরে যান সাকা চৌধুরীর ছেলে ও আইনজীবীরা। তবে শনিবার আবারো আইনজীবীদের প্রবেশের অনুমতি চাওয়া হবে বলে জানান হুম্মাম কাদের চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, এর আগে আজ (শুক্রবার) দুপুর ২টায় কারাকর্তৃপক্ষের কাছে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন সালাউদ্দিন কাদেরের সাত আইনজীবী। অনুমতি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চলে যান তারা।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে সাকা চৌধুরীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিল বিভাগের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে এবং রায় কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা নেই। তবে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন।

জেইউ/এআর/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।