৪ বছরে দুদক কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬১ বিভাগীয় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

অডিও শুনুন

২০১৬ থেকে ২০১৯ এই চার বছরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনিয়মের অভিযোগে কমিশনের ৬১ কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হলেও তাতে কঠোর সাজা হয়েছে মাত্র আটজনের। আর মামলা নিষ্পত্তি হয়নি প্রায় অর্ধেক অভিযোগের।

দুদকের চার বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া যায়। ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭ ও ২০১৬ সালে যথাক্রমে ২৮, ৪, ১৫ ও ১৪ দুদক কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয় আর তাতে মোট আটজনকে কঠোর শাস্তি ও ছয়জনকে স্বল্পমাত্রার সাজা দিয়েছে দুদক। আর অন্যভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে ৩২টি মামলা। তবে প্রায় ২৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গোয়েন্দা এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করে দুদক। দুদকের চাকরি বিধিমালায় বলা হয়েছে, দুদকের কর্মচারীরা বিশ্বস্ততা, সততা ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে কমিশনের চাকরি করবেন এবং ক্ষমতার কোনো ধরনের অপব্যবহার করবেন না। একই বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারীর আইনসম্মত আদেশ পালনে ব্যর্থতা বা অনীহা এবং চারিত্রিক স্খলন (ঘুষ গ্রহণ, অনৈতিক বা অসামাজিক কার্যকলাপ ইত্যাদি) বিষয়ক আচরণ কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য হবে না এবং এসব ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

দুদকের বিধিমালা ২০০৭ অনুসারে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি অনুসন্ধান ও তদন্তে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এর আওতায় কে কি অপরাধ করছে তা সার্বক্ষণিক পরিবীক্ষণ, নজরদারি, অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, মামলা দায়েরের জন্য অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন নামে একটি কমিটি থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি ২০১৯ সালেও একাধিক বৈঠক করেছে। বেশকিছু প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
করেছে। ২০১৯ সালে কমিশনের দুজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কঠোর সাজা ও একজন কর্মচারীকে স্বল্পমাত্রার সাজা দেয়া হয়েছে। একই বছর দুদক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬টি। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে নয়টি।

২০১৮ সালে কমিশনের তিনজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কঠোর সাজা ও একজন কর্মচারীকে স্বল্পমাত্রার সাজা দেয়া হয়েছে। একই বছর দুদক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সংখ্যা ছিল ১৬টি। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে আটটি।

২০১৭ সালে কমিশনের একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কঠোর সাজা ও দুজন কর্মচারীকে স্বল্পমাত্রার সাজা দেয়া হয়েছে। সে বছর বিভাগীয় মামলা ছিল ২৫টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩টি।

আর ২০১৬ সালে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ছিল ২৬টি যার মধ্যে কঠোর সাজা পেয়েছেন দুজন, স্বল্পমাত্রার সাজা হয়েছে দুজনের এবং অন্যভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে ১২টি মামলা।

এসএম/এমআরআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।