বাংলায় সাইনবোর্ডে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের, প্রশাসনের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:২৮ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭-এর ৩ ধারায় সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সব ধরনের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বরপ্লেট, সরকারি দফতরের নামফলক ও গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারকে আদেশ দেন।

হাইকোর্টের এমন আদেশের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে প্রতিবছরই ভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে কিংবা বিভিন্ন সময়ে বাংলায় সাইনবোর্ড নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এসবের পরও নগরে থামছে না ইংরেজি কিংবা বিদেশি ভাষার সাইনবোর্ডের ব্যবহার।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম নগরের একাধিক নামিদামি প্রতিষ্ঠানও বাহাদুরি দেখাতে ইংরেজি সাইনবোর্ড ব্যবহার করেন। এবার জেলা প্রশাসন সরেজমিন নগরের এসব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সতর্ক করেন। এ সময় ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ড সরাতে তিনদিনের আল্টিমেটামও দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে বিদেশি ভাষার সাইনবোর্ড না সরালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরের জিইসি মোড়, কাজির দেউরি, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, জামাল খান ও চকবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

jagonews24

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন বলেন, ‘সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট আজকে সতর্কতামূলক অভিযান পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধান, আইন ও আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সব প্রতিষ্ঠানকে নামফলক বাংলায় লেখার নির্দেশ দেয়া হয়। বিদেশি ভাষায় লেখা সাইনবোর্ড সরাতে ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।’

জেলা প্রশাসন জানায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জিইসি মোড়ে বিভিন্ন দোকান, বিপণি-বিতান ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০টি দোকান ও প্রতিষ্ঠানকে বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড টাঙানোর জন্যে সতর্ক করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান চকবাজার, কাজির দেউরি ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেন। এছাড়া নগরের জামাল খান এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন।

জেলা প্রশাসনের অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটদের সহযোগিতা করেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও বিজয় ৭১-এর উপদেষ্টা ডা. মাহফুজুর রহমান, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন ডা. আর কে রুবেল, বিজয়’৭১-এর সভাপতি সজল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কাজী রাজেশ ইমরান, জয়নুদ্দীন জয় প্রমুখ।

এআরএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।