সবাই পাবেন শ্রমের মর্যাদা
কৃষি শ্রমিক, মালিসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সব শ্রমিককে শ্রমের মর্যাদা দিতে সংসদে নতুন একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। বেসরকারি বিল হিসেবে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেছেন সরকার দলীয় সদস্য ইসরাফিল আলম। বিলটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় ৮৭ শতাংশ শ্রমজীবী মানুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে অসংগঠিত অবস্থায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। তারা প্রচলিত শ্রম আইন প্রদত্ত অধিকার, সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত। সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে কৃষক-শ্রমিকসহ জনগণের অনগ্রসর অংশের শোষণমুক্তি এবং ১৯ অনুচ্ছেদে সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বিলোপের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিলটি প্রণয়নের ফলে তাদের আইনি ও সামজিক মর্যাদা প্রদান করবে এবং বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বৈষম্যমূলক পরিবেশ কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিলের সংজ্ঞায় বলা হযেছে, সরকারি গেজেট দ্বারা বা ঘোষিত অন্য যে কোনো পেশায় নিয়োজিত শ্রমিক বা কর্মচারী, যারা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের তালিকা বহির্ভূত।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত বলতে বিলে ২০টি ক্যাটাগরিতে নিয়োজিত স্থায়ী বা মৌসুমী শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন, কৃষি শ্রমিক, বর্গচাষী, তাঁতি, কামার, কুমার, মাঝি, ঘাট শ্রমিক, নিমার্ণ শ্রমিক, হকার, ফেরিওয়ালা, দর্জি, কাঠ মিস্ত্রি, ইলেক্ট্রিক প্লাম্বার, রিকশাচালক, ঠেলাচালক, মাটিকাটা শ্রমিক, গৃহকর্মী, মালি, গ্রিল -ওয়েল্ডিং শ্রমিক, দোকান কর্মচারী, বাশঁ বেতের কারিগর, বেকারি শ্রমিক, ডেকোরেটর, মোটর গ্যারেজ ও জাহাজ ভাঙা শ্রমিক, বুক বাইন্ডিং শ্রমিক, সুইপার, নৈশ্য প্রহরীসহ পোলট্রি ও ফিশারিজ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকরা।
এইচএস/একে/পিআর