অবৈধভাবে মজুত প্রায় ৫ হাজার মণ কাঁচাপাট জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ফাইল ছবি

নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলার নাজিরপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি গুদামে নিয়মবর্হিভূত মজুত প্রায় ৫ হাজার মণ কাঁচাপাট জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিত এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ধারা বেগবান করতে অবৈধ কাঁচাপাট মজুতের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পাট অধিদফতর।

সোমবার পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক হোসেন আলী খোন্দকার ও নাটোর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে গুরুদাশপুরেরর নাজিরপুর বাজারের ভাই-ভাই ট্রেডার্স গুদামে নিয়মবর্হিভূত মজুত প্রায় ৫ হাজার মণ কাঁচাপাট জব্দ করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশে কাঁচাপাটের সঙ্কট তৈরির কারণে পাটকলগুলো উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীরা কাঁচাপাটের ডিলার/আড়তদাররা এক হাজার মণের বেশি কাঁচাপাট এক মাসের বেশি সময় ধরে মজুত করতে পারবে না।

এছাড়া লাইসেন্সবিহীন কাঁচাপাট কেনা-বেচা ও মজুত থেকে বিরত রাখা, ভেজা পাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা, বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পাট অধিদফতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাটচাষ নিশ্চিতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে পাট মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচ বছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। চলতি পাট মৌসুম থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে। ধাপে ধাপে তা আগামী পাঁচবছরে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উচ্চফলনশীল পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং মানসম্মত পাট উৎপাদনে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধকরণ ও সহায়তা দিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর প্রত্যক্ষভাবে এক লাখ ৫৩ হাজার পাটচাষি ও পরোক্ষভাবে ৬ লাখ ১২ হাজার কৃষক ও পরিবারের সদস্য উপকৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

আরএমএম/এমএসএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।