পরিবারের সদস্যদের যা বললেন মুজাহিদ


প্রকাশিত: ০৯:৩৮ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে তারা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সাক্ষাৎ শেষে পৌনে তিনটার দিকে কারাগার থেকে বের হন।  

সাক্ষাৎ শেষে মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর  বলেন, আমরা ভাই, বোন দুলাভাই ও মাসহ মোট ১২ জন দেখা করেছি। আমার আব্বা অনেক দৃঢ় ও শক্ত রয়েছেন তাকে বিমর্ষ দেখা যায় নি। তিনি বলেছেন, আমি ৭১ এ কোনো অপরাধ করিনি। শুধুমাত্র ইসলামি আন্দোলন করার কারণে এ রায় দেয়া হয়েছে। এটা সরকারের ৪ বছরের নীল নকশার অংশ। ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা, মিথ্যা, মিথ্যা। এখনো রিভিউয়ের রায়ের কপি আমার কাছে আসেনি।’ রায়ের কপি আসার পরে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন।

আমরা আব্বার এ ইচ্ছার কথাটি আইনজীবীদের জানাবো। তাদের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না তা জানাবেন।

দল ও দেশের মানুষের প্রতি তার কোনো বক্তব্য ছিল কি না সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাবরুর বলেন, আব্বা বলেছেন আমি নির্দোষ, নির্দোষ ও নির্দোষ। মুজাহিদের ছেলে আরো বলেন, একটি বিষয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে তিনি চিঠি লিখবেন তবে তা বিচারপতি না রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার জন্য সে ব্যপারে তিনি খোলাসা করেন নি।

Mujahid-femily

মুজাহিদের পরিবারের যারা তার সঙ্গে দেখা করলেন :
স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান, বড় ছেলে আলী আহমেদ তাজদীদ, মেঝো ছেলে আলী আহমেদ তাহকীক, ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর, মেয়ে তামরীনা বিনতে মুজাহিদ এবং তার স্বামী নুরুল হুদা ফুয়াদ, বড় ছেলের বউ নাসরিন আক্তার কাকলী, মেঝো ছেলের বউ সৈয়দা রুফাইদা, ছোটো ছেলের বউ ফারজানা জেরিন, ছোট ভাই উজায়েব আকরাম, ভাগনে আ ন ম ফজলুল হাদী ও আত্মীয় মো. খালেক। মুজাহিদের নাতী তাকিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এআর/এসএইচএস, এসকেডি, এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।