গাইবান্ধায় ভাতিজার মারপিটে ফুপুর মৃত্যু


প্রকাশিত: ০৯:২১ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানি পাড়ায় বড় ভাইয়ের ছেলে মারুফের মারপিটে ফুপু রোমানা বেগম (৪৫) নিহত হয়েছেন। গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ রোমানা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত মারুফ (২৪), ফারুক (২৩) ও তার বোন পারুলকে (৪২) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। নিহত রোমানা বেগম তার ছেলে সুমনকে নিয়ে শহরের পৌর এলাকার ডেভিড কোম্পানি পাড়ার ঘাঘট নদীর পাড়ে বসবাস করতেন।

স্থানীয়রা জানান, মান্নান মিয়ার ছেলে মারুফের সঙ্গে রোমানা বেগমের ছেলে সুমনের পারিবারিক বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে মারুফ, ফারুক ও তার বোন পারুল মঙ্গলবার রাতে সুমনের বাড়িতে গিয়ে তাকে বেদম মারপিট করে। এতে সুমনের মা রোমানা বেগম ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও বেদম মারপিট করে।

এক পর্যায়ে মারুফ তার ফুপু রোমানা বেগমকে আবারও মারপিট করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রোমানা বেগমকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহম্পতিবার ভোরে মারা যান তিনি।

এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে রোমানা বেগমের মরদেহ গোসল করান স্থানীয় লোকজন। তারা গোসল করাতে গিয়ে রোমানা বেগমের রক্তাক্ত শরীর দেখতে পান। পরে বিষয়টি তারা পুলিশকে জানান এবং অভিযুক্ত মান্নানের ছেলে মারুফ, ফারুক ও তার মেয়ে পারুলকে আটক করে রাখেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রোমানা বেগমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি দুপুরে আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

অমিত দাশ/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।