লিখিত রায় যাবে কারাগারে
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করতে কারাকর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আদেশ যাবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কারাকর্তৃপক্ষকে আমাদের রেজিষ্ট্রার লিখিতভাবে জানাতে পারেন বা আাদালত আদেশ দেয়ার পর এমনি এমনি চলে যেতে পারে। এতে কোন অসুবিধা হবে না।
রায় কার্যকরে পরোয়ানার দরকার হবে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন যে, একটি পূর্ণাঙ্গ আদেশ দরকার। তাহলে তা চলে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আপিলের রায় যাওয়া দরকার ছিল তাই সেই রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে গেছে। তারা তা দেখে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন। যেহেতু ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাই এখন আর নতুন করে কোনো পরোয়ানা জারির দরকার নেই।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কাদের মোল্লার রায়েই বলা আছে- যে সময় থেকে রিভিউ রায়ের কপি কারাগারে যাবে তখন থেকে দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে যদি ক্ষমা প্রার্থনা (মর্সি পিটিশন) করা হয় তাহলে দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া আপনা-আপনি স্থগিত হয়ে যাবে। আদালত সে রকম ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, রিভিউর দুটির রায় আদালত গতকালই (বুধবার) খারিজ করায় তা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আমি সর্ট অর্ডার (সংক্ষিপ্ত আদেশ) চেয়েছিলাম। আদালত বলেছেন তার আর দরকার হবে না। আজকেও (বৃহস্পতিবার) সেটি আদালতে উল্লেখ করেছিলাম, আদালত বলেছে সেটির দরকার হবে না, আমরা রিভিউ এর পূর্ণাঙ্গ রায় দিব।
মাহবুবে আলম বলেন, আব্দুল কাদের মোল্লার রিভিউর রায়ের কপি বের হয়েছিল এক বছর পর। তবে তার দণ্ড কার্যকর করার আগে কারাগারে একটি (সর্ট অর্ডার) সংক্ষিপ্ত আদেশ গিয়েছিল। তখন আদালত ১ লাইনের একটির সর্ট অর্ডার দিয়েছিল। সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের রায় খুব শিগগিরই পাব।
শিগগিরই বলতে কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আইনজীবী হিসেবে আমাকে অতি শিগগিরই বলতে হবে। কারণ আমি তো দিন ক্ষণ ঠিক করে দিতে পারি না। আমিতো গণকের ভূমিকা নিতে পারি না। আমি তো গণক নই।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সার্টিফিকেট আদালতে দাখিল করেছেন সেটা আদালত গ্রহণযোগ্য মনে করেননি, আমিও বলেছি যে তা জাল। আইনের কাছে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
এফএইচ/আরএস/আরআইপি