রাজপথে আসছে বিএনপি, দাঁতভাঙা জবাব দিতে চায় আওয়ামী লীগ
নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজপথের আন্দোলনে যাচ্ছে দলটি। এর অংশ হিসেবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি এ কর্মসূচিকে ঘিরে যদি কোনো ‘অপকর্ম’ করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থেকে এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
গত শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি মনোনীত দেশের ছয় মহানগরের সাবেক মেয়র প্রার্থীদের এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ছয় মহানগরে সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায়, ১ মার্চ রাজশাহীতে, ৩ মার্চ ঢাকা উত্তরে ও ৪ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সমাবেশ করবে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন।
এরই মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় নগরের লালদীঘি পাড় অথবা কাজীর দেউড়ী মোড়ে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশকে চিঠি দেয়া হয়েছে। বিএনপির এই তৎপরতার পরপরই সেদিন রাজপথে থাকার ঘোষণা দিল নগর আওয়ামী লীগ।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যদি কোনো অপকর্ম করতে চায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সব স্তরের জনগণকে নিয়ে রাজপথে থেকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে। আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এক এবং অভিন্ন।’
আজম নাছির বলেন, ‘আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে এদেশকে স্বাধীন করেছি। যারা পাকিস্তানি প্রেতাত্মা তারা রাজপথে আন্দোলনে ভয় পেয়ে তাদের কর্মসূচি এখন অফিসমুখী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ।’
এ সময় তিনি আল জাজিরার প্রতিবেদনের পেছনে তারেক রহমানের ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ করে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে প্রাপ্য দণ্ড প্রদান করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা ছিল না। ব্যালট প্যানেল দখল করে ভোট চুরি করা হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ২০ শতাংশ ভোট নিজেরা দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছেন।
আবু আজাদ/এমআরআর/এমকেএইচ