যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ ভাঙচুর, মুসলিমদের হুমকি
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে একাধিক মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এক ডজনেরও বেশি অঙ্গরাজ্যে সিরীয় শরণার্থীর আশ্রয় স্থগিতের পর দেশটিতে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলো। প্যারিসে ভয়াবহ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের ওপর ঘৃণা ও বিদ্বেষের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর আলজাজিরার।
দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) জানিয়েছে, দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে ভাঙচুর, মুসলমানদের হুমকি ও ঘৃণা ছড়ানোর ঘটনা বেশি ঘটেছে। এর মধ্যে ম্যাসাচুসেটস, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, কেনটাকি, ভার্জিনিয়া, নেব্রাস্কা, টেনেসি, ওহাইও ও নিউ ইয়র্কসহ আরো কয়েকটি রাজ্যে মসজিদে ভাঙচুর, মুসলমানদের হুমকি ও তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ২৭টি রাজ্যের গভর্নর সিরিয়ান শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ১২৯ জন নিহত হওয়ার পর তারা এ ঘোষণা দেয়। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমরা হামলা ও ঘৃণার শিকার হচ্ছেন।
সিএআইআর জানিয়েছে, কে বা কারা সোমবার রাতে নেব্রাসকা রাজ্যের মসজিদের দেয়ালে আইফেল টাওয়ারের ছবি এঁকে রাখে। সোমবার সকালে মুসল্লিরা টেক্সাসের স্থানীয় একটি মসজিদে প্রবেশ করে বিভিন্ন জিনিসপত্র এলামেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এছাড়া মুসল্লিরা মসজিদের দরজায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের পাতা ছেড়া দেখেন।
সেন্ট পিটার্সবার্গ ও ফ্লোরিডা ইসলামিক সেন্টারকে প্যারিস হামলার কয়েক ঘণ্টার পর হুমকি দেয়া হয়েছে। এছাড়া পিনেলাস কাউন্টিতে মুসলিম সোসাইটিকে বোমা মেরে ও গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, পোর্টল্যান্ড ও ওরিগন অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় মসজিদের সামনে জড়ো হয়ে মুসলিমদের গালিগালাজ করেছে। নর্থ ক্যারোলিনায় একজন মুসলিম উবার চালককে এক যাত্রী হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। অর্ল্যান্ড ও ফ্লোরিডায় এক বাড়িতে সোমবার অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়েছে। ওই বাড়িটিতে মুসলিম পরিবার বসবাস করে।
এসআইএস/পিআর