নির্দেশনার অপেক্ষায় কারা কর্তৃপক্ষ
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরে প্রস্তুত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। বুধবার রায় ঘোষণার পর জরুরি বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় কারাগারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কারা কর্তৃপক্ষের বিশেষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, রায় ঘোষণার পর কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবিরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন জেল কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছেন।
এদিকে, সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব সদস্যও। এছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারের আশেপাশের সকল রাস্তায় চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।
সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় এখন রায় কার্যকরে কোনো আইনি বাধা নেই। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন তারা।
এদিকে, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ছেলে আলী আহম্মদ মারবুর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের বলেছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে বাবার (মুজাহিদ) সঙ্গে দেখার করার পর প্রাণ ভিক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কেবল তার (মুজাহিদ) ইচ্ছার কথা জানালেই কেবল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
সাকার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম আল ফয়সালী বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ আগে থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে।
জেইউ/আরএস/এমএস