মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি অর্ধেক কমছে
মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) করা প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এখন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেই নতুন ফি কার্যকর হবে।
গত বছরের ১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ জাপান যৌথ সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপ’ শীর্ষক বৈঠকে মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি বাজারমূল্যের ১০ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে জাপানি রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মোটরসাইকেল নিবন্ধন খরচ কমানোর প্রস্তাব করেন।
সম্প্রতি অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের (এনটিআর-২) উপসচিব শাব্বির আহমেদ স্বাক্ষরিত সম্মতি সংক্রান্ত চিঠি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি কমানোর সম্মতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসি বা এর কম হলে পূর্বনির্ধারিত বিদ্যমান শুধু নিবন্ধন ফি চার হাজার ২০০ টাকার স্থলে দুই হাজার টাকা হবে। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসির ঊর্ধ্বে হলে পূর্বনির্ধারিত বিদ্যমান শুধু নিবন্ধন ফি পাঁচ হাজার ৬০০ টাকার স্থলে তিন হাজার টাকা হবে।
বাংলাদেশ মোটরসাইকেল সংযোজনকারী ও উৎপাদক সমিতি (বিএমএএমএ) জানিয়েছে, ১১০ সিসির একটি মোটরসাইকেলের মাশুল বাংলাদেশে ২২ হাজার ২৮৪ টাকা। ভারতে তা তিন হাজার ৮৭৯, শ্রীলঙ্কায় চার হাজার, পাকিস্তানে দুই হাজার ৬৮, মিয়ানমারে তিন হাজার ৩২০ এবং মালয়েশিয়ায় এক হাজার ১৩২ টাকা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে চলাচল সীমিত থাকলেও গত বছর সারাদেশে তিন লাখ ১১ হাজার ১৬টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন করেছেন গ্রাহকরা। যেখানে ২০১৯ সালে নিবন্ধন নেয়া হয়েছে চার লাখ এক হাজার ৪৫২টির। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে এ সংখ্যা ছিল তিন লাখ ২৫ হাজার ৮৭৬ এবং তিন লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৫টি।
আইএইচআর/এএএইচ/এএসএম