উনি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত হননি : খন্দকার মাহবুব
মুজাহিদের রায় সম্পর্কে তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, “উনি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত হননি। তার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ এসেছে, দেশে যে ইনটেলেকচুয়াল কিলিং হয়েছে, যেহেতু তিনি ইসলামি ছাত্রসংঘের সেক্রেটারি ছিলেন, সে কারণে এর দায় দায়িত্ব তাকে গ্রহণ করতে হবে। সুপিরিয়র কমান্ড যেটাকে বলা হয়।”মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির নিজ কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,“এই ক্ষেত্রে যে অপরাধ হয়েছে, সেখানে যদি মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকে, তাহলে এই দায় দায়িত্ব তার ঘাড়ে চাপানো যাবে না। এই কারণে তাকে এই ধারায় সাজাও দেওয়া যায় না।”
মাহবুব বলেন, “আমাদের বক্তব্য একটিমাত্র চার্জে যে চার্জে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সেই চার্জের পক্ষে যে ধরনের সাক্ষ্য প্রমাণ এসেছে, তার উপর ভিত্তি করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বেআইনি হয়েছে।” “এখানে কিন্তু আমরা সমস্ত চার্জের বিরুদ্ধে যাইনি। তার বিরুদ্ধে অন্যান্য চার্জে তার যাবজ্জীবন হয়েছে, ৫ বছর সাজা রয়েছে। ওইসব চার্জের বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নাই।
তিনি বলেন, এই রিভিউই আসামির আইনি লড়াইয়ের শেষ ধাপ। “যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা অন্য সাজা নিয়ে নয় আমরা একটা চার্জের (মৃত্যুদণ্ড) বিরুদ্ধে রিভিউ করেছি। আমরা যখন মামলা করতে যাই, তখন প্রত্যাশা করি, আসামি খালাস পাবে।
খন্দকার মাহবুব বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগে এর আগে ৪২ মামলা হয়েছে, সেখানে মুজাহিদের নাম ছিল না। আল বদরের কোনো তালিকায় তার নাম পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কর্মকর্তাও বলেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, “আমরা দেখিয়েছি, আল বদরের কমান্ড ছিল আর্মি কমান্ড। সেটা আমরা মুনতাসির মামুনের একটা বই থেকে নিয়াজী সাহেবের ইন্টারভিউ থেকে দেখিয়েছি। নিয়াজী সাহেব বলেছেন, আল বদর, আল শামস সরাসরি আর্মি কমান্ডে ছিল।”
তিনি বলেন, “আমরা বলেছি, অন্য কেস যখন আমরা করেছি, তখন মামলায় যারা আসামি ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল, অমুক স্থানে তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আগুন দিয়েছে, নির্যাতন করেছে। কিন্তু মুজাহিদের বিরুদ্ধে চার্জে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই।
এফএইচ/এসকেডি/এএইচ/আরআইপি