সংস্কৃতির মাধ্যমে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করতে হবে
সংস্কৃতির মাধ্যমে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) দুই দিনব্যাপী সঙ্গীত উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, যারা প্যারিসে হামলা চালিয়েছে তারা কারা? তারা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে বাইরে হামলা চালিয়েছে। তাদের পরিচয় কি? তাদের পরিচয় হচ্ছে, যারা গান পছন্দ করে না তারাই নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। প্যারিসের হামলা তাই প্রমাণ করে। তারা সংস্কৃতি, মানুষ, দেশ ও ধর্মকে বিশ্বাস করে না। এমনকি তারা যে ধর্মের কথা বলে এই হামলা করে তারা সেই ধর্ম সম্পর্কেও জানে না। সংস্কৃতির মাধ্যমে এই জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রবীন্দ্র, নজরুল ও লোক সঙ্গীতের চর্চা থাকলেও আধুনিক গানের তেমন প্রচার নেই। দীর্ঘ দিন ধরে এই স্বতন্ত্র গানের ধারাকে যারা বহমান রেখেছে সেই গীতিকার ও সুরকারদের চিনি না। আধুনিক গান বাংলা গানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। তাই বর্তমান সরকার আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকাকে এই অঞ্চলের ‘সাংস্কৃতিক রাজধানী’ করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এমনকি চলতি শীতের মধ্যেই দেশের যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগ রয়েছে সেসব বিভাগের সহযোগিতায় ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত উৎসব’ করারও ঘোষণা দেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগ এ উৎসবের আয়োজন করে। এ উৎসবে থাকছে ১৯৫৬-২০১০ পর্যন্ত বাংলা চলচ্চিত্রের উল্লেখ্যযোগ্য গান পরিবেশনা। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরীন আহমাদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মহসিন আক্তার খানম (লীনা তাপসী খান) প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেশের ছয়জন প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মনিরুজ্জামান মনির, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, খন্দকার নুরুল আলম, আলম খান এবং প্রয়াত সত্য সাহা।
এমএইচ/এসএইচএস/আরআইপি