উত্তরা তৃতীয় পর্বের কাজ ২০১৬ সালের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ


প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

উত্তরা আবাসিক এলাকার তৃতীয় পর্বের সকল উন্নয়ন কাজ ২০১৬ সালের  ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার উত্তরা তৃতীয় পর্বের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এ নির্দেশ দেন তিনি।

পূর্তমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বিগত ১৬ বছরেও প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়নি। অনন্তকাল একটি প্রকল্প চলতে পারে না। জনগণ প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়ে বছরের পর বছর অপেক্ষা করছে। অনেকের মধ্যে হতাশা জন্ম নিয়েছে। অনেক সময় পার হয়েছে। তাই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

এ সময়ে জানানো হয় যে, ১৯৯৯ সালে দুই হাজার ৪৪ কোটি আট লাখ ১১ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০২ সাল মেয়াদী এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পরে সংশোধিত হিসেবে দুই হাজার তিনশত চল্লিশ কোটি ২১ লাখ ৫২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্প এলাকার ভূমি উন্নয়ন কাজের মধ্যে ১৫ নম্বর সেক্টরে ৯৫ ভাগ, ১৬ সেক্টরে ৯০ভাগ, ১৭ নম্বর সেক্টরে ৮৭ভাগ এবং ১৮ নম্বর সেক্টরে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। সার্বিকভাবে আটভাগ ভূমি উন্নয়ন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।

এ সময়ে আরো জানানো হয় যে, প্রকল্প এলাকায় ১৬৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তার মধ্যে ১২৭ কিমি’র নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অবশিষ্ট ৩৭ কিমি রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এখানে মোট ১২টি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। ছয়টি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দুইটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অবশিষ্ট চারটি ব্রিজের কাজ শেষ হবে। প্রকল্প এলাকায় মোট ১২টি লেক রয়েছে। জুন ২০১৬ এর মধ্যে পাঁচটির উন্নয়ন কাজ শেষ হবে। অবশিষ্ট সাতটির উন্নয়ন কাজ ডিসেম্বর ২০১৬’র মধ্যে শেষ হবে। তৃতীয় পর্বে মোট আট হাজার ২৯৫টি প্লট রয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ৯৯৬টি প্লট রাজউকের স্টেট শাখাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত আছে।

এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরো দুই হাজার প্লট স্টেট শাখাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। অবশিষ্ট প্লটের উন্নয়ন কাজ জুন ২০১৬ এর মধ্যে শেষ করা হবে। প্রকল্প এলাকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য ১৭টি পাম্প স্থাপনে ওয়াসাকে স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আরো ১০টি পাম্প স্থাপনের জন্য ওয়াসা জায়গা চাচ্ছে।

এ সময়ে আরো জানানো হয় যে, ১৮ নম্বর সেক্টরের ‘এ’ ব্লকে ৭৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে ১৬৫৪ বর্গফুটের মোট ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৪০টি ভবন রাজউক এবং ৩৯টি ভবন গণপূর্ত অধিদফতর নির্মাণ করছে। বর্তমানে ৫৭টি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। এর মধ্যে সাতটি ভবনের ১৬তলা পর্যন্ত কাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অপর তিনটি ভবনের ১৪তলা পর্যন্ত, ছয়টি ভবনের সাততলা পর্যন্ত, ১৫টি ভবনের চারতলা পর্যন্ত এবং ২৬টি ভবনের বেজমেন্টর কাজ চলছে।

পরে মন্ত্রী নির্মাণাধীন বহুতল আবাসিক ভবন, লেক এলাকা, রাস্তাসহ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ, রাজউক চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়া, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রহমত উল্লাহ মো. দস্তগীর, আরিফ-উর-রহমান, রাজউকের সদস্য আব্দুর রহমানসহ রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএ/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।