বাগেরহাটে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপেক্ষা করে বাগেরহাট বিএনপি ও যুবদলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে দলে টেনে নিলো ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সোমবার সন্ধ্যায় জেলার ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের ভবনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন দাস তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে বরণ করে নেন।
এসময় ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার কিসলুসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বগুড়া সফরকালে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে এক জনসভায় ঘোষণা করেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের নাশকতা সৃষ্টিকারী হিসেবে অভিহিত করে তাদের আওয়ামী লীগে না নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরও বাগেরহাটের ফরিকহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা ৫দিন অতিবাহিত হতে না হতেই তা উপেক্ষা করলো ফকিরহাট আওয়ামী লীগ।
এঘটনায় ফরিকহাটের আওয়ামী গীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক সেখানকার এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, চেয়ারম্যান স্বপন দাশ নিজের খামখেয়ালী মতো কাজ করে থাকেন। তার উপরে ফকিরহাটে কেউ কথা বলার নেই। বলা যায় তিনি এক প্রকার মুকুটহীন সম্রাটের মতো বাধাহীন ভাবে কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নিদেশনার পরও তিনি ফকিহাটের সুবিধা ভোগীদের দলে ভিড়িয়েছেন যা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না।
এ বিষয়ে কথা হলে ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, স্থানীয় ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৫ শতাধিক লোক আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন। তাদের বিষয়ে আগে ভাগে যাচাই বাছাই করা হয়েছে বলে তিনি বলেন।
ফকিরহাট আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় লখপুরের ভবনা স্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপি ও যুবদল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ হলেন, ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ইসমাইল শেখ, একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কবির ফরাজি, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাদের মোড়ল ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জাহিদ ইকবাল।
যোগদানকারীদের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের কোনো নেতাকর্মী বা নাশকতা মামলার আসামি রয়েছে কীনা সে বিষিয়ে ফকিরহাট থানা পুলিশ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
শওকত আলী বাবু/ এমএএস/পিআর