জেএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সুবিধা ফি!


প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

পিরোজপুরের নাজিরপুরে কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সুবিধা ফির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, চলতি জেএসসি পরীক্ষায় উপজেলার মাটিভাঙ্গা কেন্দ্রের সচিব ও স্থানীয় হাজী আ.গণি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার কুণ্ডুসহ তার বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকরা টাকা তুলছেন। অভিযুক্ত কেন্দ্র সচীব সন্তোষ কুমার কুণ্ডুর কাছে এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কিছুটা অশোভন আচরণ করে ফোন রেখে দেন।  

জানা গেছে, ওই কেন্দ্রে ৬০১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৭৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। আর প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১২০ টাকা করে প্রায় ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।    

এ বিষয়ে মঙ্গলবার একাধিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কেন্দ্র সচিবসহ ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম ও অফিস সহকারী সনদ মণ্ডল পরীক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। তবে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম এ টাকা আদায়ের কথা অস্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, এ টাকা অফিস সহকারী ও অন্যান্য শিক্ষকরা তুলেছেন।

এ বিষয়ে হাজী আ. গনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী আয়সা আক্তার জানান, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের পরীক্ষার পরই প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১২০ টাকা করে তোলার জন্য কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকদের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হয়েছে।

মালিখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও জেএসসি পরীক্ষার্থী সনদ মণ্ডল জানায়, কি কারণে টাকা দিতে হবে তা স্যারদের কাছে জানতে চাইলে স্যাররা জানান, ২০ টাকা আয়া ও দফতরিদের জন্য বাকি একশ টাকা পরীক্ষার হলে সুবিধা পেয়েছো তার জন্য দিতে হবে।

এ বিষয়ে বরইবুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় মালাকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, কি কারণে টাকা তোলা হচ্ছে তা আমার জানা নেই। তবে  প্রায় সকল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেই কয়েকজন শিক্ষক এ টাকা মঙ্গলবার তোলা শেষ করেছে।

ওই কেন্দ্রের অতিরিক্ত কেন্দ্র সচিব এ অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, কেন্দ্র খরচ বাবদ বোর্ড কর্তৃক ৯০ হাজার ১৫০ টাকা পেলেও কেন্দ্রের খরচ বেশ বেশি হওয়ায় এ টাকা তোলা হয়েছে।   

এ ব্যাপারে উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, অতিরিক্ত টাকা তোলার কথা মৌখিকভাবে শুনলেও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তাছাড়া ওই কেন্দ্রের ৪/৫ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নকল সরবরাহসহ বিভিন্ন অনিয়মের আভিযোগ রয়েছে।

হাসান মামুন/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।