পল্লবী থেকে উত্তরায় যাওয়ার সহজ রাস্তাটির বেহাল দশা
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বালুঘাট-মাস্টারটেক সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। একসময় এই সড়ক দিয়ে সহজেই পল্লবীর সাগুফতা থেকে উত্তরার জসিম উদ্দিনে যাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে সড়কটিতে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ নয় বছরেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় ইট-পাথর উঠে বড় বড় গর্তের কারণে সড়কটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সড়কটি ব্যবহার করে আগে খুব সহজেই বালুঘাট থেকে পল্লবী বা পল্লবী থেকে বালুঘাট হয়ে উত্তরায় যাতায়াত করা যেত। কিন্তু সংস্কারের অভাবে এটির এখন বেহাল দশা। যানবাহন চলতে গেলে উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে মাখামাখির ভয়ে হাঁটাও যায় না।
তাদের অভিযোগ, বিষয়টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

বালুঘাট বাজার থেকে সোজা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে নেমে যাওয়া এই সড়ক দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার গেলেই পল্লবীর সাগুফতা নতুন সড়ক।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) গিয়ে দেখা যায়, এই তিন কিলোমিটারের সড়কে তেমন যান চলাচল নেই। মাঝে মধ্যে কিছু ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, পিকআপ খানাখন্দে ভরা সড়কে হেলেদুলে চলছে। রাস্তার কোথাও পিচ চোখে পড়েনি। যানবাহন চললে কিংবা একটু বাতাস হলেই উড়ছে প্রচুর ধুলাবালি।
সড়কটির কালাপানি ব্রিজ এলাকায় ধুলাবালির পরিমাণ বেশি দেখা গেছে। ধুলার কবল থেকে বাঁচতে অনেক বাসিন্দা এবং সড়কের পাশের দোকানিকে পানি ছেটাতে দেখা গেছে।

নম্বরি টেক এলাকার বাসিন্দা খন্দকার সফিউল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, সর্বশেষ ২০১২ সালের দিকে সড়কটি সংস্কার করেছিল ডিএনসিসি। কিন্তু এরপর আর এই রোডের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি সিটি করপোরেশন। বিষয়টি বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বছরখানেক আগে ডিএনসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোডটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এরপর আর কেউ খোঁজ নেয়নি।
জানতে চাইলে ডিএনসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালেক মোল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ওই রাস্তাটি সংস্কারে অনেক আগেই ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে রাস্তাটির উন্নয়নে প্রকল্প নিয়েছেন। প্রকল্প পাসও হয়েছে। শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে।
এমএমএ/এসএস/জেআইএম