বাংলাদেশ নীতিতে অবশ্যই নজর রাখবেন জো বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন বলে মনে করেন কূটনীতি বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। অর্থনীতি, উন্নয়ন এবং ভূরাজনীতির বিবেচনায় বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে বিধায় জো বাইডেন এদিকেও অবশ্যই নজর রাখবেন বলে অভিমত তার।
‘কেমন হবে জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক প্রসঙ্গ নিয়ে জাগো নিউজের মুখোমুখি হয়েছেন ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাজনীতিক বাইডেন। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঝানু এ রাজনীতিকের দায়িত্বগ্রহণ প্রসঙ্গে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, জো বাইডেন সারাজীবন পররাষ্ট্রনীতি নিয়েই কাজ করেছেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো ব্যক্তিত্ব নন। ওয়াশিংটন ডিসির সঙ্গে জো বাইডেনের রাজনীতির গাঁথুনি রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে রীতিমতো একটি অস্বস্তির জায়গায় নিয়ে গিয়ে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউরোপিয়ান রাষ্ট্র, জাপান এমনকি আমাদের পাশের দেশ ভারতও এই অস্বস্তিতে ছিল।
এক্ষেত্রে জো বাইডেন বড় ধরনের একটি পরিবর্তন নিয়ে আসবে অভিমত দিয়ে তিনি বলেন, জো বাইডেন চাইবেন, স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন, যা পরিবর্তনের ইঙ্গিত। তিনি পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করবেন বলে মনে করি। তবে এ চেষ্টা অবশ্যই তার জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলা যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বায়ন থেকে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করেছিলেন, সেখানে আবারও সম্পৃক্ত হওয়া চ্যালেঞ্জই বটে।
এ কূটনীতি বিশ্লেষক মনে করেন, করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেতে না পারে, তাহলে অর্থনীতির মন্দা সামলে আনা জটিল হবে। জো বাইডেন পুনরায় বিশ্বব্যবস্থায় সম্পৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন।
ট্রাম্পের নীতির অবসানের মধ্য দিয়ে বাইডেন আমলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নয়নের চেষ্টা চলবে বলে মনে করেন এ আলোচক। তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেন, অর্থনীতি, উন্নয়ন এবং ভূরাজনীতির বিবেচনায় বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে এবং জো বাইডেন বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়ায় অবশ্যই নজর রাখবেন।
এএসএস/এইচএ/জিকেএস