‘চরম দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের ভূমিকাই অগ্রগণ্য’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২০ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২১

কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি (সিএমএসএম) খাতের উন্নয়ন ও চরম দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের ভূমিকাই অগ্রগণ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া জুমে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে সিএমএসএমইস : জার্নি, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ফিউচার ডিরেকশন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ (আইসিই) সেন্টার এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত ‘রিভাইভ’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

আইসিই সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমানের সঞ্চালনায় ও সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে সম্মানিত বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি খুরশিদ আলম।

ড. গওহর রিজভী বক্তব্যের শুরুতে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি (সিএমএসএম) খাতের উন্নয়নে আইসিই সেন্টারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্যোক্তাদের ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইনের সাথে লিংক করিয়ে দেয়াটা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।’

আদিবাসীদের জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘তাদের জন্য যেসব প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে সেগুলো খুব সময়োপযোগী উদ্যোগ কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় তাদের মার্কেটের সাথে লিংক করানোর ক্ষেত্রে। স্বাভাবিকভাবে উদ্যোক্তা মনোভাব ব্যক্তিসত্তা কেন্দ্রিক হলেও আদিবাসীদের ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন, কারণ তারা ব্যক্তিস্বত্তার থেকে সামষ্টিক সত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেয়, আর এভাবেই তাদের ব্যবসায়ী শ্রেণী গড়ে উঠে।’

২০৩০ এর লক্ষ্য পূণের জন্য দেশের এমন পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক শ্রেণীকে সামনে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আইসিই সেন্টার একটি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।’

ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, ‘প্রথমে সিএমএসএম খাতকে একসাথে না দেখে বরং কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পকে আলাদাভাবে বিবেচনা করে প্রতিটির জন্য ভিন্ন ভিন্ন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন দরকার। ছোট এবং মাঝারি শিল্পকে যখন একীভূত করে ফেলা হয় তখন নীতিগুলো কোনো কোনো ক্যাটাগরির জন্য প্রয়োজনের বাইরে জটিলতার সৃষ্টি করে, যেটা ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য ক্ষেত্র বিশেষে সমস্যার সৃষ্টি করে।’

তিনি রিভাইভ প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ম্যাপিং উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এর মাধ্যমে জেলাভিত্তিক শিল্পায়নের সুযোগ এবং সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা যাবে।’

একেএম সাজেদুর রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ক্রমবিকাশমান অর্থনীতিতে সিএমএসএম খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শরীয়ত উল্লাহ বলেন, ‘আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য এই খাতের ব্যবসায়ীরা কতটুকু আগ্রহী এবং তারা কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা এই গবেষণাপত্রের মাধ্যমে তুলে আনা হবে। যাতে পরবর্তীতে এই খাতে ব্যবসায়ীদের জন্য সঠিক নীতি-নির্ধারণে এটি কাজে আসে। সিএমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রবেশ এবং প্রসারের ক্ষেত্রে ক্লাস্টারভিত্তিক উন্নয়ন প্রয়োজন।’

ইএআর/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।