জংউইকে ফেরালেন আল আমিন


প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশকে দলকে আবারো খেলায় ফিরিয়ে আনলেন আল আমিন হোসেন। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে ১৫ তম ওভারে ইমরুল কায়েসের ক্যাচে পরিণত করে জংউইকে ফেরান তিনি। বাংলাদেশ দলের জন্য ক্রমেই হুমকি হয়ে উঠছিল ষষ্ঠ উইকেট জুটি। ম্যালকম ওয়ালারের সঙ্গে দলের হয়ে ৫৫ রান যোগ করেন জংউই।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে দলের সংগ্রহ ১৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান। ম্যালকম ওয়ালার ৩৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসাবে মাঠে নেমেছেন নেভিল মাদজিভা।

এর আগে সফরকারি দলের সবচেয়ে বিপদজনক ব্যাটসম্যান অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরাকে ফিরিয়েছেন আফারাত সানি। মিড অফে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক। ইনিংসের অষ্টম ওভারে শর্ট মিড অফে ঠেলে দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে রান নিতে চেয়েছিলেন ক্রেইগ আরভিন। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির কাছ থেকে বল পেয়ে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে আরভিনকে ফেরান নাসির। আউট হবার আগে ১৭ বলে ১৫ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসে উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রেগিস চাকাভা। জিম্বাবুয়ে শিবিরে নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছেন আল-আমিন হোসেন। ওভারের প্রথম দুই বলে সাজঘরে ফেরান সিকান্দার রাজা এবং শেন উইলিউয়ামসকে। রাজা উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে এবং উইলিয়ামস বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান।

এর আগে প্রাণ আপ টি-টোয়ান্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৩৬ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংইয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে বাংলাদেশ দলকে বড় সংগ্রহ করে দেয়নি সফরকারীরা।

সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাণ আপ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দলকে দারুণ সূচনা এনে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস।

দলীয় ২৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পতন ঘটে বাংলাদেশের। মাদজিভার বল লং অনের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। ব্যাটে বলে ঠিক ভাবে সংযোগ না হওয়ায় লং অনে চিগুম্বুরার হাতে ধরা পরে সাজঘরে ফেরেন এই দেশ সেরা ওপেনার। আউট হবার আগে ১৫ বলে ১টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে করেছেন ২১ রান।

তামিমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার ইমরুল। প্রায় চার বছর পর টি-টোয়ান্টি দলে ফেরা এই ওপেনারকে ফেরান তেনদাই চিসোরো। তবে এই আউটে দারুণ ভূমিকা ছিল শেন উইলিয়ামসের। ঝাপিয়ে পরে দারুণ এক ক্যাচ ধরে ইমরুলকে সাজঘরমুখি করেন তিনি।

এরপর বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে ফেরান ক্রেমার। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক।

মুশফিকের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সাব্বির রহামান এবং এনামুল হক। ৩৭ রানের জুটি গড়ে ক্রেমারের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন সাব্বির। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ বলে ১৭ রান করেন তিনি। ১৭তম ওভারে দলীয় ১১৩ রানে পানিয়াঙ্গারার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান নাসির। এরপর দলের ৯ রান যোগ করতে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ এবং মাশরাফি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন এনামুল হক। ধীর গতিতে ব্যাটিং করে এই রান করতে ৫১ বল মোকাবেলা করেন তিনি। জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিনাশে পানিয়াঙ্গারা ৩টি উইকেটে নেন ৩০ রানে। এছাড়া মাদজিভা এবং ক্রেমার ২টি করে উইকেট পান।

আরটি/এমআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।