রাবি শিক্ষক হত্যা : এক বছরেও দেয়া হয়নি চার্জশিট


প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল ইসলাম লিলন হত্যার এক বছর হলেও দেয়া হয়নি চার্জশিট। তবে এ মাসের মধ্যে চার্জশিট দেয়া হবে বলে মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক আশ্বাস দিয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রয়াত শিক্ষকের পরিবার এবং সহপাঠীরা।

এক বছরেও মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অধ্যাপক শফিউল ইসলাম লিলনের ছেলে শাওমিন শারিদ জাভিন বলেন, হত্যাকারীদের শাস্তি দেখার আশা নিয়ে আমি এখনও বেঁচে আছি।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘এ ধরনের গুপ্ত হত্যার তদন্ত কাজ বেশ কঠিন এবং সময় লাগে। তবে শফিউল স্যারের হত্যার এক বছর পার হলেও এর তদন্তের তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। তবে খুব দ্রুতই এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তকাজ শেষ হবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাবি শিক্ষক শফিউল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা বলেন, এই বর্বরোচিত হত্যার মোটিভ সম্পর্কে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। এক বছর হয়ে গেল অথচ বিচারই শুরু হল না। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কি হতে পারে!

এর আগে শিক্ষক শফিউল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে রাবি শিক্ষক সমিতি এক প্রতিবাদ র্যালি বের করে। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপায়া এলাকায় নিজ বাসভবনের সামনেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাশেদ রিন্টু/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।