আর্সেনিক আক্রান্ত শিশুর নিউমোনিয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ


প্রকাশিত: ০৭:৩৮ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

সাধারণ শিশুদের তুলনায় আর্সেনিক আক্রান্ত শিশুদের নিউমোনিয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন আইসিডিডিআর’বির গবেষকরা। আইসিডিডিআর’বির এক গবেষণায় দেখা গেছে দেড় শতাধিক এক মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু যাদের প্রস্রাবে আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে তারা তীব্র ও  মারাত্মক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়।

তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য গবেষকরা একই বয়সী ২৯৬ শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে স্পষ্ট পার্থক্যে খুঁজে পান। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে এ গবেষণাটি আইসিডিডিআরবি’র মতলব হাসপাতালে পরিচালিত হয়।

আইসিডিডিআরবি’র মতলব হাসপাতালের সাবেক প্রধান ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. মোহাম্মদ ইউনুসসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইলম্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও জন হপকিন্স ব্লামবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এ গবেষণায় অংশ নেন।

আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানীদের মতে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সাড়ে তিন কোটি মানুষ আর্সেনিকে ভুগছে বলে অনুমান করা হয়। বিশ্বব্যাপি শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। সারাবিশ্বে পাঁচ বছরের যত শিশুর মৃত্যু হয় তার শতকরা ১৫ ভাগই নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

২০১৩ সালে এ রোগে সারা বিশ্বে মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মারা যায়। বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর শতকরা ২৭ ভাগ নিউমোনিয়ার কারণেই হয়।

আইসিডিডিআরবি’র এ গবেষণা ভবিষ্যতে আর্সেনিক প্রতিরোধ ও নিউমোনিয়াজনিত মৃত্যুরোধে সহায়তা করবে বলে গবেষকরা জানান। কম খরচে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে আইসিডিডিআরবির ঢাকা হাসপাতাল।

এমইউ/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।