বনমন্ত্রীর সাজা বাতিলের রায় আপিলে বহাল


প্রকাশিত: ০৫:৫৮ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

দুর্নীতির মামলায় বন ও পরিবেশমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে হাইকোর্টের খালাসের রায় বহাল থাকল।

রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।এই আদেশের ফালে তার বিরুদ্ধে নিন্ম আদালতের দেয়া সাজার আদেশ বাতিল`ই বহাল রইলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করিম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- আটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান। এর আগে তার দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে সাত বছরের সাজা বাতিল করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অনুপস্থিতিতে জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক একেএম আরিফুর রহমান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। একই সঙ্গে বিচারক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অবৈধ দুই কোটি ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ সরকারের অনুকূলে আইনানুগভাবে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে মামলার বিষয় বস্তুর উপর শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১০ আগস্ট  বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে খালাস দেন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন দুদক।

২০০৭ সালের ৭ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দুদক মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়  ২০০৮ সালের ২০ মার্চ। এতে তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য তাসমিমা হোসেনকেও আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দু`কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ গোপন করে অবৈধ এক কোটি ৭২ লাখ চার হাজার ৩৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্বে ছিলেন।

এফএইচ/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।