ঈশ্বরদী পৌর নির্বাচন : সক্রিয় আ.লীগ-বিএনপি প্রার্থীরা


প্রকাশিত: ০৫:৫৫ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

পৌর নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে প্রার্থীদের সক্রিয়তা ততই বাড়ছে। জনসমর্থন আদায়ে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের। জনগণকে আকৃষ্ট করতে  প্রার্থীরা বেছে নিয়েছেন নানা পন্থা।

জানা গেছে, ঈশ্বরদী পৌরসভায় তিনবারের নির্বাচিত মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু আপাতত চেষ্টা করছেন দলীয় প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার। এবার যেহেতু পৌর নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে সেহেতু নিজের পক্ষে কর্মীদের সহযোগিতা পেতে হলে প্রতীক ছাড়া কোনো উপায় নেই।

এর আগে জাতীয় নির্বাচনের সময় পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু ও পৌর বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুর মধ্যে প্রকাশ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে না থাকায় এক পর্যায়ে বাবলুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে বাবলুর সমর্থকরা এই বহিষ্কারদেশ মানেনি। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আবারো প্রকাশ্য রূপ নেয়। বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের খেলা চলে। নির্বাচনের পরে আপাতত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে পরিস্থিতি।

এদিকে কর্মীরা বলছেন, এবার যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে সেহেতু যে ধানের শীষ পাবে আমরা তার জন্য কাজ করবো। নির্বাচনকে সামনে রেখে বাবলুর তেমন কোনো তৎপরতা এখনো দেখা না গেলেও তার সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রের সঙ্গে বাবলু নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
 
অন্যদিকে পৌর ছাত্রদলের সভাপতি ইমরুল কায়েস সুমন দলীয় সমর্থন লাভের জন্য চেষ্টা করছেন। তিনিও দলের মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

দু’দফা ধাক্কা খাওয়ার পর এবার নির্বাচনী মাঠে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টুকে অনেক বেশি সক্রিয় দেখা গেছে। ব্যক্তি যোগ্যতার মূল্যায়নে ও দলের প্রতি কমিটেড নেতা হিসেবে মিন্টু কর্মীদের কাছে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেছেন। দলের কর্মীই শুধু নয়, সমর্থক তরুণ-যুবকরাও তাকে পছন্দ করছেন।
 
গত নির্বাচনে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু দলের সমর্থনে প্রার্থী হলেও বাবলু নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি পান ১৬ হাজার ৬৪৭ ভোট (দেয়াল ঘড়ি), মিন্টু (আনারস) পান ১২ হাজার ৪০৭ এবং পিন্টু (দোয়াত-কলম) পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৬৫৪ ভোট। বাবলু ও মিন্টুর মধ্যে ৪ হাজার ২৪০ ভোটের ব্যবধান ছিল। এবার যদি দু’জন প্রার্থী হয় তাহলে মিন্টুকে আরো ৭ হাজার ভোট অনুকূলে আনার জন্য তার কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ বাবলু চাইবেন পিন্টুর ওই ৪ হাজার ভোট এবার নিজের দিকে টানতে। যদিও পরিবেশগত দিক বিবেচনা করলে আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ভাল অবস্থানে আছেন। শুধু তাই নয়, বিপুল সংখ্যক কর্মীর সহযোগিতাও তার পক্ষে রয়েছে।

এদিকে কাউন্সিলর প্রার্থী অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। দলীয় ব্যানারে যদি প্যানেল নির্বাচন হয় তাহলে কিভাবে প্যানেলভুক্ত হওয়া যায় সেই চেষ্টা করছেন অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী। তারা মনে করছেন, মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে প্যানেলভুক্ত হতে পারলে সহজেই বিজয়ী হওয়া যাবে। আর তা না হলে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীই হবেন।

এসকেডি/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।