পোশাকশিল্পে ৪৩ শতাংশ নারীই অপুষ্টির শিকার

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২১

দেশের বিভিন্ন শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বড় অংশ অপুষ্টির শিকার। শুধু তৈরি পোশাকশিল্পেই কর্মরতদের মধ্যে শতকরা ৪৩ জন নারী অপুষ্টিতে ভুগছেন। অপুষ্টির কারণে শ্রমিকের কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা ২০ ভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে সরকারের রুপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শ্রমিকের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া জরুরি।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) খুলনার সিটি ইন হোটেলে ‘শ্রমিকদের জন্য বিদ্যমান পুষ্টিসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ প্রকল্প’ বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা এই তথ্য তুলে ধরেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতর আয়োজিত- এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)।

অনুষ্ঠানে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত এবং উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা; তিনি ৪৮ বছর আগে পুষ্টি বিষয়টিকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সে কারণেই জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান মনে করেন, অপুষ্টির কারণে সংঘটিত রোগব্যাধি ব্যক্তিজীবনে কর্মঘণ্টা হ্রাস ও আর্থিক ক্ষতিসাধন করে, যা সার্বিকভাবে জাতীয় উন্নয়ন ব্যাহত করে। তাই অপুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রুপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শ্রমিকের নিরাপদ খাবার ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে মনোযোগ দেয়া জরুরি। এছাড়া যারা খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সরবরাহ ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত তাদেরকেও নিরাপদ ও পুষ্টির বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে এই সংক্রান্ত উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশ ও বিশ্বের নানা গবেষণা অনুযায়ী- শ্রমিকের যথাযথ পুষ্টি জাতীয় উৎপাদনশীলতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধু আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উত্পাদনশীলতার পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমিয়ে দেয়।

এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, গেইন-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার, খুলনার ডিভিশনাল কমিশনার ইসমাঈল হোসেন, শ্রমও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের খুলনা ডিভিশনের পরিচালক মিজানুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের পুষ্টির গুরত্ব বিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন গেইন বাংলাদেশের পোর্টফোলিও লিড মনিরুজ্জামান বিপুল।

আলোচনায় বক্তারা পুষ্টির ক্ষেত্রে টেকসই ও ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য একটি অ্যালাইন্স তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এমইউ/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।