কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে মংলাবন্দর
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মংলা বন্দর ক্রমান্বয়ে কর্মচঞ্চলতা ফিরে পেতে শুরু করেছে। গত বছর এ বন্দর ৬০ কোটি টাকার বেশি লাভ করেছে।
শনিবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে মংলা বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১১তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নৌমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান মংলা বন্দরের উন্নতির যে কর্মধারা শুরু করেছিলেন তার মৃত্যুর পর অনেক সরকারই সে কর্মধারাকে অনুসরণ করেনি। যার ফলে মংলা বন্দর এক সময়ে শোচনীয় হয়ে পড়ে এবং জাহাজের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় এ বন্দর নতুন গতি ফিরে পাচ্ছে।
মংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বন্দরের মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের জন্য প্রথমবারের মতো দুটি ড্রেজার আনা হয়েছে।
নৌমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকার সঙ্গে নৌ যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে দুটি স্টিমার নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্টিমার দুটি চালু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার সবই বর্তমান সরকার করবে। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদসহ কমিটির ২৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজউদ্দীন আহমেদ সভার এজেন্ডাসমূহ উপস্থাপন করেন।
আলমগীর হান্নান/এআরএ/আরআইপি