রাজধানীর যাত্রী ছাউনি দখল করে চলছে দোকান বাণিজ্য


প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৫

রাজধানীর বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের সুবিধার জন্য তৈরি হওয়া যাত্রী ছাউনিতে এখন আর যাত্রীদের বসা বা বিশ্রাম নেওয়ার মত পরিবেশ নেই। এক শ্রেণির অসাধু প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে সেখানে চালাচ্ছে ব্যবসা ।

হকারদের আধিপত্য, ছিন্নমূল মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য এবং ফুটপাথের দোকানিদের কারণে যাত্রীদের তেমন কাজেই আসছে না এই ছাউনিগুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশন মিলিয়ে প্রায় আড়াইশ` যাত্রী ছাউনির বেশিরভাগের ওপরই সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ নেই। অন্যদিকে যাত্রীসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, দোকান বসিয়ে লাখ লাখ টাকা ভাড়া আদায় করছে প্রভাবশালী মহল। কেউ আবার এগুলো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বরাদ্দ নেয়ার দাবিও করেছেন।

বেশিরভাগ যাত্রী ছাউনিতে ফাস্টফুডস,কনফেকশনারি, চা-পান সিগারেট, ফ্লেক্সিলোডের দোকানের জন্য যাত্রীদের দাঁড়ানোর মতো তিল পরিমাণ জায়গা নেই। অথচ শত শত যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থেকেই বাসে উঠছে।

ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমার হলের উত্তর পাশ, ইন্দিরা রোড, মিরপুর-১০, আসাদ গেটের পূর্বদিকে মিরপুর রোডের পাশে,শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে, উত্তরা, জসিমউদ্দীন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশের প্রায় সবক`টি যাত্রী ছাউনির একই দশা চোখে পড়ে।

যাত্রী ছাউনি দখল করা বেশিরভাগ দোকানীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা কয়ক বছর যাবৎ মাসিক ভাড়া দিয়ে এই দোকানগুলো চালাচ্ছেন । এর আগে আগ্রিম মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে তাদের।

কাদের টাকা দিতে হয়েছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়ে তারা বলেন, প্রভাবশালীদের কাছ থেকে  প্রথমে এটা একজন লিজ নেয়। পরবর্তিতে আমাদের মত ব্যবসায়ীরা অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে, মাসে মাসে ১০/১৫ হাজার টাকা করে ভাড়া দিই।

যাত্রী ছাউনিগুলোতে দিনের বেলায় দখলকারীরা বিভিন্ন ব্যবসা পেতে বসেন আর রাতে অধিকাংশ ছাউনিগুলো  যৌনকর্মী, মাদকাসক্ত ও ছিনতাইকারীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ যাত্রী ছাউনির ধারে কাছেও ভিড়তে পারেন না।

এএস/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।