গরীব বলে কি বিচার পাব না
নগরীর মোহরা এলাকার বাসিন্দা রিনা বেগম প্রশাসনের কাছে সরল প্রশ্ন রেখে বলেন গরীব বলে কি বিচার পাব না।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আকুতি জানান রিনা বেগম ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিনা বলেন, ২০১১ সালে স্থানীয় সন্ত্রাসী স্ক্র্যাপ জসিম, মো. আবছার, আলমগীর, কাউছার, বাপ্পী , দিপঙ্কর, ইমাম হোমেন ও কাজী তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
নগরীর চান্দগাঁও থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের চাপে মামলা নেয়নি। উল্টো যাবতীয় নথিপত্র কেড়ে নেয়। পরে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল-১ মামলা (৬৬৬/২০১১) দায়ের করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন বিচার পাননি তিনি।
রিনার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে রাজিব। নিজের সামনে মায়ের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজিব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১১ সালে রোজার ঈদের আগে রিনার ছেলে রাজিবের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আবছার-জসিমরা। সে টাকা দিতে পারবে না বললে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।
রিনা বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে আমার ছেলেকে মারধর করে দোকানের টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আমি কারণ জানতে চাইলে আলাউদ্দিন আমার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন নিয়ে আমাকেও মারধর শুরু করে।
এসময় আমি আলাউদ্দিনের বড় ভাই জসিমের পায়ে পড়ি। সে ফোন করে আরো লোকজন নিয়ে আসে। তারা আমাকে ও আমার ছেলে টেনে হিঁচড়ে একটি ৬তলা ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলে রাজিবকে বেঁধে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
রাজিব বলেন, পরদিন আমরা র্যাব অফিসে গেলে তারা মানবাধিকার সংগঠনে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর আমার মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আমি চট্টগ্রাম হাসপাতালের ওয়ান স্টট ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করাই। এরই মধ্যে বিষয়টি আপোষ করার কথা বলে ভয় দেখিয়ে একাধিক মামলার আসামি বাপ্পির বাড়ি নিয়ে যায়।
কিন্তু সেখান থেকে আসার পর আমার সমস্ত ডকুমেন্ট কেড়ে নিয়ে আবারও নির্যাতন চালায়। এরপর চান্দগাঁও থানায় মামলার করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে আবার সব কাগজপত্র জোগাড় করে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা (৬৬৬/২০১১) দায়ের করি।
জীবন মুছা/এসকেডি/এমএস