যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা করলেন পুলিশ কনস্টেবল


প্রকাশিত: ০৮:১২ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৫
প্রতীকী ছবি

যৌতুকের দাবিতে দুই কন্যা সন্তানের জননী মিনা বেগমকে (৩৪) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন পুলিশ কনস্টেবল কাওসার শেখ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন পুলিশ সদস্য কাওসার। বৃহস্পতিবার রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কাওসার বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত রয়েছেন।

নিহতের মেজ ভাই মো. কামরুজ্জামান খান জাগো নিউজকে জানান, ১৯৯৬ সালে বাগেরহাট সদরের বেমরতা গ্রামের এন্তাজ উদ্দিনের ছেলে কাওসারে সঙ্গে তার ছোট বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কাওসার যৌতুকের দাবিতে তার বোন মিনাকে চাপ দিতে থাকেন। এ অবস্থায় বোনের সুখের কথা ভেবে চার ভাই বোন জামাই কাওসারকে বিভিন্ন সময়ে ৩ লাখ টাকা দেন। তারপরও মিনাকে বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার করতো সে।

তিনি জানান তার বোনকে কাওসার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। বাগেরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউল আলম জাগো নিউজকে জানান, পুলিশ কনস্টেবল কাওসার মাদকাসক্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় তিনি তার স্ত্রী মিনাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ঘরের মধ্যে তার দুই শিশু কন্যাকে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. কামরুজ্জামান খান বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত মিনা বেগমের মেয়ে জেএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার কনা (১৩)  ও ছোট মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আক্তার বনা (১০) জানায়, তার বাবা কাওসারের সঙ্গে প্রায়ই তার মায়ের ঝগড়া হতো এবং বাবা তাকে মারপিট করতেন।

বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মিঠু জাগো নিউজকে জানান, পুলিশ কনস্টেবল কাওসারের পারিবারকে কলহ নিয়ে তিনি একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছেন। যৌতুক লোভী কাওসার পুলিশে চাকরি করলেও তিনি মাদকাসক্ত হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটে এসে তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে পরিকল্পিতভাবে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।

তিনি দোষী এই পুলিশ কনস্টবলকে আটক করে এই হত্যাকাণ্ডটি দ্রুত বিচার আইনে পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।