প্রবাসীরা ঋণ নিতে কেন অনাগ্রহী, প্রশ্ন সচিবের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৫৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘সহজ শর্তে, মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ প্রদানের সুব্যবস্থা থাকলেও বিদেশ ফেরত কর্মীরা ঋণ গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কিন্তু কেন? চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরা প্রবাসী কর্মীদের জন্য ৭০০ কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে। কিন্তু ঋণ নেয়ার ব্যাপারে তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফেরত আসা প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে মাত্র এক হাজার জন ঋণ গ্রহণ করেছেন।’

রোববার (২০ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জনশক্তি, কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং ব্র্যাক আয়োজিত ‘ন্যাশনাল লেভেল স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন অন সেফ মাইগ্রেশন এবং সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন ইন দ্য কনটেক্সট অব কোভিড-১৯ ক্রাইসিস’ শীর্ষক অভিবাসন খাতের জাতীয় পর্যায়ের অংশীজনদের এক পরামর্শ সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে প্রবাসী কল্যাণ সচিব এ কথা বলেন।

চলতি বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনাকালীন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সোয়া তিন লাখেরও বেশি প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। তাদের অনেকেই চাকরি হারিয়ে কিংবা নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরেছেন।

সচিব বলেন, এ সেক্টর নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের কাছে প্রবাসীদের ঋণ গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট পরামর্শ কামনা করছি।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, সারাবিশ্বে অপ্রত্যাশিত কোভিড মহামারি শুরু হওয়ার পর আমাদের সামনে মূলত পাঁচ ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমত যারা বিদেশে আছেন তারা কীভাবে সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারেন, চাকরির নিশ্চয়তা পেতে পারেন। দ্বিতীয়ত যারা ফিরে আসতে চাচ্ছেন তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কীভাবে নিশ্চিত করা যায়। তৃতীয়ত যারা ফেরত এসেছেন তাদেরকে কীভাবে আবার পাঠানো যায় এবং চতুর্থত যারা দেশেই থাকবেন তাদেরকে কীভাবে সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়। সর্বশেষ, নতুন করে কীভাবে আবার বৈদেশিক কর্মসংস্থান শুরু করা যায়। কিন্তু সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে চলেছি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএমইটির মহাপরিচালক মোঃ শামসুল আলম। অভিবাসনের সাম্প্রতিক চিত্র ও প্রবণতা নিয়ে বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীর খাইরুল আলম এবং নিরাপদ অভিবাসন ও কার্যকর পুনঃএকত্রীকরণের বিষয়ে কীভাবে সম্মিলিত কাজ করা যায় সে বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বায়রার সভাপতি সাংসদ বেনজির আহমেদ, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিএমইটি, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, বোয়েসল এর কর্মকর্তা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

এমইউ/এমএইচআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।