পুলিশ জনগণেরই অংশ : আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশ জনগণেরই অংশ। পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক না থাকলে জনগণ কি চায় তা অনুধাবন করা সম্ভব নয়। পুলিশকে সহায়তা করতে হবে। তাহলেই জনগণ কি চায়, তার প্রত্যাশা কি, তা বুঝা সম্ভব হবে। যেখানে অবিশ্বাস থাকে সেখানে সেতু বন্ধন হয় না। বিশ্বাস থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ নিউফিল্ড মাঠে আয়োজিত জেলা কমিউনিটি পুলিশিং মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, রাষ্ট্র নিরাপদ করতে হবে। নিরাপদ সমাজ গঠনে কমিউনিটি পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে হবে। শৃঙ্খলাই কমিউনিটি পুলিশের প্রধান বৈশিষ্ঠ্য। আমরা শুধু অধিকার ভোগ করতে চাইবো, আর দায়িত্ব পালন করবো না তা হবে না। সে রকম হলে সমাজকে সুন্দর ও সুস্থ করা সম্ভব নয়।
আইজিপি আরো বলেন, কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে চাই। যখন জনগণ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার শক্তি এক হবে তখন সমাজে কোনো অপরাধীই কোনো কিছু করতে পারবে না। উভয় শক্তি এক সঙ্গে কাজ করলে কোনো অপশক্তিই সমাজে বিস্তার লাভ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, দেশের সব থানায় দালাল থাকে। দালাল থাকলে জনগণ ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মানুষ থানায় আসতে ভয় পায়। কমিউনিটি পুলিশ যদি সব সময় যোগাযোগ রাখে তাহলে থানা থেকে দালাল পালিয়ে যাবে। দালাল তাড়ানোর দায়িত্ব কমিউনিটি পুলিশের।
তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি পুলিশ তৎপর থাকলে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, গ্রাম্য দাঙ্গা রোধ করা সম্ভব। কমিউনিটি পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে ও নিরপেক্ষ থেকে দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করবেন। তারা কখনও বিচার করার চেষ্টা করবেন না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি অ্যাড. মো. আবুল খয়ের। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পিপিএম মিজানুর রহমান, সিলেটের পুলিশ কমিশনার কামরুল হাসান, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র ও হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মোতাচ্ছিরুল ইসলাম।
সমাবেশে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কমিউনিটি পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত হন। এর আগে আইজিপি বাহুবল উপজেলার পুটিজুরিতে নতুন স্থাপিত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এআরএ/পিআর