দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় খালেদা


প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, তিনি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লন্ডনে বসে বিদেশি নাগরিক হত্যা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান। কিন্তু স্বাধীনতার স্বপক্ষের জনগণ তা হতে দিবে না। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশে হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে বগুড়ায় উন্নয়ন হয়েছে। আর বিএনপির সময়ে খুন লুটপাট সন্ত্রাস হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণ কিছু পায়। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে মানুষ হত্যা ছাড়া আর কিছু পায় না।

Bogra

৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না এসে খালেদা জিয়া ভুল করেছে। আর সেই ভুলের খেসারত দিচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনে না এসে খালেদা জিয়া নির্দেশ দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ছাড়া কিছুই জানে না বিএনপি। খালেদা জিয়া ও তার ছেলে খুনি হিসেবে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছে।

ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্য। দেশেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বগুড়াকেও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পুরাতন শিল্প নগরী হিসেবে বগুড়া ফিরে পাবে তার ঐতিহ্য। বগুড়ায় উৎপাদিত সবজি তাজা রাখতে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। যার মাধ্যমে উৎপাদিত কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রফতানি করার সুযোগ থাকবে। যাতে করে এ অঞ্চলের কৃষির অগ্রগতি বাড়বে।

Bogra

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।

লিমন বাসার/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।