বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত ছিলেন দেশে স্বাধীনতা আসবেই : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিশ্চিত ছিলেন দেশে স্বাধীনতা আসবেই। তাই তো তিনি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ভেবেছিলেন কীভাবে দেশকে পুনর্গঠন করা যায়।

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, উন্নত ও ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পায়ন করতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এরই মধ্যে এর সুফল আমরা ভোগ করছি।

শিল্পমন্ত্রী প্রযুক্তি নির্ভর চিন্তাভাবনা থেকে শিল্পায়ন গড়ে তুলতে মন্ত্রণালয় ও দফতর/সংস্থার প্রধানদের আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোনো চিনিকল বন্ধ হবে না এবং চিনিকলের কোনো শ্রমিকও ছাঁটাই হবে না। বরং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পায়নের মাধ্যমে চিনিকলগুলোকে লাভজনক করতে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

আলোচনায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত প্রণোদনার কারণে দেশে শিল্পায়নসহ সব অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।

আলোচনা সভায় স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দফতর-সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরাল এবং মন্ত্রণালয়ের লবিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শিল্পমন্ত্রী ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। পরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ইএআর/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।