বেওয়ারিশ কুকুরে অতিষ্ঠ শরীয়তপুরবাসী
বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে শরীয়তপুর পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শরীয়তপুর শহরের প্রতিটি রাস্তা এখন বেওয়ারিশ কুকুরের দখলে রয়েছে। রাস্তা দিয়ে ছোট ছোট শিশু কিশোরসহ সাধারণ জনগণও সঠিকভাবে যাতায়াত করতে পারছেন না।
বিশেষ করে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা বেওয়ারিশ কুকুর দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এতে করে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কোনো শিশু যদি খাবার নিয়ে যায়, তাহলে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো তার পিছু নিয়ে তাড়া করছে এবং এ ধরনের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। কিন্তু পৌর প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়ে প্রতিদিনই ২০-২৫ জন রোগী ভ্যাকসিন নিতে আসছেন।
কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া মাহজাবিন বলে, আমি বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় গার্লস স্কুল মোড়ে তিন চারটি কুকুর আমাকে ধাওয়া করে। আমি দৌঁড়ে পালাতে গেলে একটা কুকুর এসে আমার ডান পায়ে কামড় দেয়। আমি এখন হাসপালে এসেছি ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য।
কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত পাঁচ বছরের শিশু আলিফ হোসেনের মা কানন আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, আমার বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসার সময় তার হাতে একটি রুটি ছিল। হঠাৎ করে কোথা থেকে একটি কুকুর এসে আমার ছেলের ডান হাতে কামড় দেয় এবং রুটিটি কেড়ে নিয়ে যায়। এখন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এসেছি ছেলেকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য।
শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, আমি বাসা থেকে কলেজে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় বেশ কয়েকটি কুকুর ঝগড়া করছিল। আমি কুকুরদের ভয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে একটি কুকুর আমার পায়ে এসে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার জন্য হাসপাতালে এসেছি। এখন চিকিৎসাসহ ভ্যাকসিন নিয়ে নেব। শরীয়তপুরে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। রাস্তা দিয়ে ঠিকমত চলা ফেরাও করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা প্যানেল মেয়র সঞ্জিব নাগ জাগো নিউজকে বলেন, শরীয়তপুর পৌর এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আমরা বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করতে পারবো না। কারণ আইনগতভাবে নিষেধ রয়েছে। তবে কেউ মেরে রেখে গেলে আমরা তা পরিস্কার করে দিতে পারবো।
মো. ছগির হোসেন/এমজেড/আরআইপি