কুড়িল ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেল সেতু মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
ফাইল ছবি

রাজউক কুড়িল ফ্লাইওভারের রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের দায়িত্ব পেয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আলোচনায় ফ্লাইওভারটির রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে অর্পণের জন্য নিজ নিজ যুক্তি উপস্থাপন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং ডিএনসিসি।

সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জানান, রাজউক যে জায়গায় কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে তার মালিকানা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের। তাছাড়া, এ ফ্লাইওভারের সংলগ্ন সবগুলো সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এই মন্ত্রণালয় করে থাকে। এছাড়া, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশ্লিষ্ট সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ, সৌন্দর্যবর্ধন ও অবকাঠামোগত সংস্কার কাজও করে যাচ্ছে সেতু মন্ত্রণালয়। এই ফ্লাইওভারের সবগুলো লুপও মন্ত্রণালয়ের অধীন মহাসড়কে গিয়ে মিলেছে।

সেতু মন্ত্রণালয়ের মতে, এই ফ্লাইওভার জাতীয় মহাসড়ক ‘এন-৩’-এর অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ফ্লাইওভারের নিচের অংশ এবং সবগুলো লুপের সংযোগস্থলের রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করে তারা। সার্বিক দিক বিবেচনায় এই ফ্লাইওভারের রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ তাদের অধীনে ন্যাস্ত করা উচিত।

সকল যুক্তিতর্ক এবং আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ফ্লাইওভারটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য বিবেচনায় তাদের কাছেই দেয়া উচিত বলে সিদ্ধান্ত দেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আওতায় কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণ করে রাজউক। কিন্তু পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আওতায় এটির রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ স্থায়ীভাবে করা সম্ভব না হওয়ায় অন্য কোনো দফতর বা সংস্থায় হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মো. হেমায়েত হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএইচআর/এসএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।