বিদেশি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে


প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ১১ নভেম্বর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  হাসিনা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিদেশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত হত্যাকারী, পরিকল্পনাকারী এবং মদদদাতাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের জীবন ও ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতীয় সংসদে বুধবার বিকেলে লক্ষীপুর-১ আসনের এম এ আউয়ালের লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, জনসাধারণের সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তাসহ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন পদেক্ষপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রতি বিদেশি নাগরিক হত্যাকারীদের বিচারের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজধানীতে ইতালির নাগরিক হত্যায় গুলশান থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সহায়তা করার জন্য গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এছাড়াও রংপুর জেলায় জাপানি নাগরিককে হত্যায় রংপুর জেলার কাউনিয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। উক্ত মামলায় ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে বিদেশিদের হত্যাকারী, পরিকল্পনাকারী এবং এর মদদদাতাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করছে।

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী এবং বিদেশি হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুসহ গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বনেতৃবৃন্দ সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে একযোগে কাজের অঙ্গীকার করেছে
ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ হাজী মো. সেলিমের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে পুরস্কারপ্রাপ্তিসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ গৃহীত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের সামনে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জ দুটি মোকাবেলায় আমি একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।

এছাড়াও আমি সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস জঙ্গিবাদের প্রতি আমাদের সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুর্নব্যক্ত করি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিশ্বনেতৃবৃন্দরা বিশেষ করে, সহিংস জঙ্গিবাদ দমন ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এইচএস/জেডএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।