লেখক-প্রকাশক হত্যার বিচারের দাবিতে ৩৮ বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি


প্রকাশিত: ০৭:১৪ এএম, ১১ নভেম্বর ২০১৫

লেখক-প্রকাশক হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩৮ বুদ্ধিজীবী। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচার না করায় হত্যাকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে।

বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক বছরে পাঁচ লেখককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলেও সরকার এখনও একটি হত্যাকাণ্ডেরও বিচার করতে পারেনি। অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচার না করার কারণে হত্যাকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে। যে অপরাধীদের ধরা হয়েছে, তারাও জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের এরূপ উদাসীনতা মুক্তবুদ্ধির মানুষদের হতাশ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে খুনিদের আইনের আওতায় আনার বদলে লেখকদের সংযত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, খুনিদের চেয়েও বেশি অপরাধ হচ্ছে লেখালেখি করা। আমরা এ অবস্থাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।`

এতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সংবিধানস্বীকৃত ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের আইন থাকতে পারে না। অবিলম্বে ৫৭ ধারা বাতিল করতে হবে।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, আহমদ রফিক, কামাল লোহানী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক যতীন সরকার, ড. অজয় রায়, হাসান আজিজুল হক, শুভ রহমান, নিখিল সেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমেদ, আবেদ খান, শাহরিয়ার কবির, রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মুশতারী শফি, ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, সেলিনা হোসেন, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ এন রাশেদা, অধ্যাপক কাজী মদিনা, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আবুল মোমেন, মানবেন্দ্র বটব্যাল, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, মশিউদ্দিন শাকের, লায়লা হাসান, অধ্যাপক বদিউর রহমান, অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান সেলিম, সুজেয় শ্যাম, কাজী মোহাম্মদ শীশ, মোনায়েম সরকার।

এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।