সাঈদ হত্যা : ওলামা লীগ নেতার আত্মসমর্পণ


প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫

সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাহি হোসেন মাছুম আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন তিনি। পরে আদালতের বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ৮ নভেম্বর রোববার এই আদালত মাছুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ও মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশের একদিনের মাথায় শিশু সাঈদ হত্যা মামলার একমাত্র পলাতক থাকা আসামি মাসুম আত্মসর্পন করলো।
আগামী ১৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি অ্যাড. মো. আব্দুল মালেক জাগো নিউজকে জানান, দুপুরে আলোচিত শিশু হত্যা মামলার একমাত্র পলাতক থাকা আসামি মাসুম আদালতে আত্মসমর্পন করেন। আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২৯ অক্টোবর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম চার্জশিট আমলে নিয়ে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নথিপত্র স্থানান্তর করেন।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী। এর আগের দিন ২২ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন এসি প্রসিকিউশনের কাছে মামলার চার্জশিট হস্তান্তর করেন।
 
পুলিশের অভিযোগপত্রে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। অন্যরা হলেন- র্যাব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মহি হোসেন মাছুম।

গত ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝরনারপাড় সবুজ-৩৭ বাসার ছাদের চিলেকোঠা একটি ঘর থেকে আবু সাঈদের অর্ধগলিত মরদেহ সাতটি পলিথিনের বস্তার মধ্যে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল এবাদুর, পুলিশের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর এই তিনজনই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নিহত আবু সাঈদ নগরের রায়নগর শাহমীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। মতিনের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার খাশিলা গ্রামে।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।