রেলে যোগ হচ্ছে নতুন কোচ ও ইঞ্জিন
রেলসেবার মান আধুনিকায়ন, নিরাপদ ও আরামদায়ক করার লক্ষ্যে ২৫০টি নতুন যাত্রীবাহী কোচ ও ১০টি ইঞ্জিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভায় এজন্য পৃথক দুই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি জানান, অনুমোদিত প্রকল্পদুটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১শ` আট কোটি টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে সরকার ৫৭৪ কোটি টাকা দেবে বাকি ১ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকল্প সাহায্য হিসেবে দেবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন,‘ ১ হজার ৩৭৪ কোটি টাকার বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ নামক প্রকল্পের আওতায় ২শ` টি মিটার গেজ এবং ৫০টি ব্রড গেজ কোচ কেনা হবে।
এছাড়াও, কোচগুলো ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ২টি ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট এ প্রকল্পের আওতায় কেনা হবে’।
তিনি আরো বলেন,‘ ৭৩৪ কোটি টাকার বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য লোকোমোটিভ রিলিফ ক্রেন এবং লোকোমোটিভ সিমুলেটর সংগ্রহ নামক অপর একটি প্রকল্পের আওতায় ১০টি ইঞ্জিন , ৪টি অ্যাকসিডেন্ট রিলিফ ক্রেন এবং একটি লোকোমোটিভ সিমুলেটর কেনা হবে’।
আজকের সভায় আরো জানানো হয়, মিটার গেজে চলার উপযোগী ১ হাজার ১৬৫টি যাত্রীবাহী কোচ বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের রয়েছে যার মধ্যে ৫৯১টির অবস্থা ভালো নয়। ফলে, বাংলাদেশ রেলওয়ে আরামদায়ক ও নিরাপদ যাত্রীসেবা দিতে পারছে না। তাই এ লাইনের জন্য ২শ কোচ কেনা হবে।
অন্যদিকে, ব্রড গেজে চলার জন্য রেলওয়ের ৩২৪টি কোচ রয়েছে যার মধ্যে ৭৮টির অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ব্রডগেজ লাইনের জন্য কেনা হবে ৫০টি কোচ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের এ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ নতুন রেলওয়ে কোচ কেনা হলে তা ইন্টারসিটি ট্রেন হিসেবে চলবে। একইসাথে পুরোনো কোচগুলো নতুন কোচ দিয়ে স্থানান্তরিত হবে। আমি আশা করছি এতে করে যাত্রীরা নিরাপদ, উন্নত ও আরামদায়ক রেলসেবা পাবেন’।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ স্থানান্তরিত পুরোনো কোচগুলো পরবর্তীতে মেইল ট্রেন ও লোকাল ট্রেন হিসেবে চলবে’।
এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পগুলো ২০১৯ সালের জুন নাগাদ শেষ করা হবে।
এসএ/এসকেডি/পিআর