কাফরুলে মিলিটারি পুলিশকে কুপিয়ে আহত


প্রকাশিত: ০৫:০০ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫

রাজধানীর কাফরুল থানাধীন কচুক্ষেত এলাকার একটি চেকপোস্টে এক মিলিটারি পুলিশকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিলিটারি সদস্যের নাম ল্যান্স কর্পোরাল ছামেদুল ইসলাম। এ ঘটনায় এক হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে কচুক্ষেত চেকপোস্টে এলাকায় ওই পুলিশ সদস্যের উপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ওই সদস্যের পিঠে ও হাতের তালুতে উপর্যপুরি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ঘটনার হোতা ৩০ বছরের দুর্বৃত্তকে ধারালো রামদাসহ আটক করে নিয়ে গেছে সেনা সদস্যরা। বাড়ির কেয়ারটেকার হারুনুর রশিদসহ আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর সেনানিবাসের কাফরুল এলাকা সংলগ্ন দুটি প্রবেশ পথ বন্ধ করে তল্লাশি চালানো হয়।



এ সময় যানবাহন চলাচলে সাময়িক সমস্যা এবং পথচারীদের ভোগান্তি হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাস্তা খুলে দেয়া হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

উত্তর কাফরুলের বাসিন্দা ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, তখন বাজে সকাল সাড়ে ৯টা। আমি গিয়েছিলাম কচুক্ষেত বাজারে। ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সামনে দাঁড়িয়ে একজনের সাথে কথা বলছিলাম। কর্তব্যরত মিলিটারি পুলিশ (এমপি) ছামিদুল ইসলাম নির্দেশ অমান্যকারী এক রিকশাওয়ালার সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় ৩০-৩৫ বছর বয়সী এক যুবক পেছন দিক থেকে তাঁর ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবকটি তাঁর ঘাড়ে, চোয়ালে ও হাতের তালুতে আঘাত করতে থাকে। বাধা দিতে গেলে ছামিদুলের হাতেও আঘাত করা হয়।

তিনি আরো জানান, এ সময় ডিজিএফআই এর সদস্য ও চেকপোস্টে কর্তব্যরত অন্যান্যরা ছুটে এলে যুবক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেনা সদস্যরা পেছনে ধাওয়া করে উত্তর কাফরুলের ২৩৯/১-খ বাসায় এক ঘণ্টা অভিযান চালায়। পাঁচতলা থেকে তাকে ধরে ডিজিএফআই কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভবনের দোতালার দরজার সামনের পাপষের নিচ থেকে হামলায় ব্যবহার করা ৩০ ইঞ্চি লম্বা ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে সেনা সদস্যরা ছাড়াও অংশ নেয় ডিজিএফআই, র্যাব, ডিবি পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

আশ্রয় নেয়া পাঁচ তলা বাড়ির মালিক আব্দুর রশিদ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার দারোয়ান ছিলো না বলে বাইরের গেইট খোলা ছিল। এই সুযোগে ওই যুবক নাকি সিঁড়ি বেয়ে পাঁচ তলায় উঠে পড়ে। আমরা লোকটাকে কোনদিন দেখিনি। কারণও জানিনা।

এ বিষয়ে একাধিক ডিজিএফআই সদস্যের সঙ্গে কথা বললেও কেউ ঘটনার কারণ জানাতে পারেননি। আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।   

উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল থেকে ডিজিএফআই সদর দফতরের গেট সর্বোচ্চ ৫০ ফুট দূরত্বে। সদর দফতরের পশ্চিম পার্শ্বের দেয়াল ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে দু’মাস আগে থেকেই রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।  ঘটনার পর রক্তাক্ত স্থানটি সেনাবাহিনীর হলুদ ফিতা টানিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

এআর/আরএম/আরএস/এসএইচএস/এআরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।