মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে : আইজিপি
পুলিশিংয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুপারভিশন ও মনিটরিং বাড়িয়ে জনগণকে দ্রুততম সময়ে উন্নত সেবা প্রদানের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপিতে কর্মরত সদস্যদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের তৃতীয় ও শেষ দিনে সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ নির্দেশ দেন আইজিপি।
আইজিপি তার পাঁচ নির্দেশনা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘জনগণের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ ও শারীরিক নির্যাতন করা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আইন প্রয়োগে আইনি সক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। ভালো কাজ করলে মানুষ যে প্রশংসা করে তার প্রমাণ আমরা করোনাকালে দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে দেশকে মাদকমুক্ত করতে হবে। পুলিশি সেবা দেশের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সারাদেশকে ৬ হাজার ৯১২টি বিটে ভাগ করে ‘বিট পুলিশিং’ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতিমুক্ত থাকতে হবে। বর্তমানে প্রচলিত কল্যাণের ধারণা থেকে বেরিয়ে পুলিশ সদস্যদের চাকরিকালীন এবং বৃহত্তর কল্যাণের ব্যবস্থা করা হবে।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। শৃঙ্খলার সঙ্গে ওয়েলফেয়ারকে গুলিয়ে ফেলা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের প্রশিক্ষণে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ আরও প্রায়োগিক এবং কাঠামোবদ্ধ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ডসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জনগণকে আরও উন্নত ও আধুনিক পুলিশি সেবা দিতে পারেন। পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ সাধনের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়মিত পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন।’
উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘ফিউচার লিডারস’ (ভবিষ্যৎ নেতা) আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, “আমরা অনেক দূরে এসেছি, বাংলাদেশ পুলিশকে বহুদূর নিয়ে যেতে হবে। দেশ ও দেশের জনগণকে সেবা দেয়ার চেতনা নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। গর্ব নিয়ে চাকরি করতে হবে, চাকরিতে ‘প্রাইড’ নিয়ে আসতে হবে।”
ডিএমপিকে ‘মিরর অব বাংলাদেশ পুলিশ’ (বাংলাদেশ পুলিশের দর্পণ) অভিহিত করে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘এই ইউনিটের গুরুত্ব উপলব্ধি করে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত আইজি ড. মইনুর রহমান চৌধুরী, এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেইউ/এফআর/জেআইএম