বিমানের টিকিট ব্লক করা হতো, স্বীকার করলেন প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২০

গত বছরের মার্চের আগে বিমানের টিকিট ব্লক করা হতো-এ কথা স্বীকার করেছেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, এর আগে আমরা বিভিন্ন অভিযোগ পেতাম, ‘বিমানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না অথচ বিমান ফাঁকা যাচ্ছে’.. এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এটি তদন্ত করেছি। মনিটরিং করেছি...এটি অসত্য ছিল না, কোনো কোনো অসৎকর্মী টিকিট ব্লক করে রাখতো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি আমরা এক্সটেনসিভ স্টাডি করেছি, তারপরে আমরা সার্ভিস সেন্টারগুলো তদন্ত করে দেখেছি কিছু কিছু সেন্টারে টিকিট ব্লক করা হতো। আমরা এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। সব টিকিট যাতে ওপেন থাকে তার ব্যবস্থা নিয়েছি। চলতি বছরের মার্চ থেকে বিমানের কোন টিকিট ব্লক করার উপায় নেই, এমনকি মন্ত্রীর জন্য বা ভিআইপিদের জন্যও টিকিট ব্লক করার কোন উপায় নেই। সে জন্য মার্চ থেকে বিমানের সব সিটে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। বিমান ভর্তি হয়ে যাচ্ছে।

বিমান পরিবহন বা মন্ট্রিল কনভেনশন বিল পাশের সময় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মোশাররফ হোসেনসহ জাতীয় পার্টির এমপিদের এ ধরনের একটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন কথা স্বীকার করেন।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-উর-রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরের অবস্থা আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিমানবন্দরে কোন যাত্রী হয়রানি হয় না আর ল্যাগেজ নিয়ে কোন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে না। বিশ্বের অন্য বিমানবন্দরে এক-দেড় ঘণ্টা পরে ল্যাগেজ পাওয়া গেলেও আমাদের বিমানবন্দরে ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে ল্যাগেজ হাতে পাওয়া যায়।

তবে তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের জন্য টিকিট আপডেটের কোনো নিয়ম বিমানে নেই, যে যেখানে সিট পাবেন সেখানে বসে তাকে যেতে হবে। আমি প্রতিমন্ত্রী হয়েও তৃতীয় শ্রেণিতে বিমান ভ্রমণ করেছি।

এইচএস/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।