দক্ষিণখানের চার হাসপাতালকে দুই লক্ষাধিক টাকা জরিমানা


প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

রাজধানীর দক্ষিণখানের চার হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৈধতা না থাকা, পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স না থাকা, দক্ষ ল্যাব টেকনিশিয়ান ও হাল নাগাদ লাইসেন্স না থাকা এবং চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনার অভিযোগে সোমবার তাদের এ জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে, ৫ এপিবিএন, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহি অভিযানকালে দক্ষিণখান এলাকার অনুপম ক্লিনিক ও হাসপাতালকে ৫০ হাজার, দক্ষিণখান পারিবারিক স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালকে ১ লাখ, ফাতেমা মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ হাজার ও তাজ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপারেশন পরিচালনাকালে ফাতেমা মেডিকেল সেন্টারের প্যাথলজি রুমের ফ্রিজ থেকে পাওয়া যায় মিষ্টি, রান্না করা তরকারি এবং কাঁচা মাংস ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার। এসব হাসপাতালের বাইরের সাইনবোর্ডে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম লেখা থাকলেও বাস্তবে অভিযান পরিচালনার সময় এসব হাসপাতালে একজন ডাক্তারকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ফুল টাইম ডাক্তার, প্রশিক্ষিত ডিপ্লোমা নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, সনোলজিস্ট এমনকি সুইপার ছাড়াই দিনের পর দিন ব্যবসা করে যাচ্ছে এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১০ বেডের হাসপাতালে তিন জন ডাক্তার, ছয় জন নার্স ও তিন জন সুইপার বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তাবে তার কোনোটাই দেখা যায়নি এসব হাসপাতালে।

অভিযান পরিচালনাকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ড. মঞ্জুর জানান, অস্বাস্থ্যকার ও নোংরা পরিবেশের মধ্যে এবং পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স ছাড়াই পরিচালিত এসব হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, জরুরি বিভাগ ও ল্যাব কোনোটারই মান সন্তোষজনক নয়।

উল্লেখ্য যে, এসব হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে ভুক্তভোগী রোগীসহ এলাকার মানুষের নানাধরনের অভিযোগ ছিল। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৫ এপিবিএন এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।

এমইউ/একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।