পরিপূর্ণতার জন্য সমন্বয় প্রয়োজন : মেয়র তাপস
পরিপূর্ণতার জন্য সমন্বয় প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) নগরভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) নিয়ে ডিএসসিসির কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় বলেন, রাজউক বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাসহ এসকল নীতিনির্ধারণী বিষয় প্রণয়ন করবে এবং সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নে করপোরেশন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সুতরাং দুটি সংস্থা একটি আরেকটির পরিপূরক, এখানে সাংঘর্ষিক কিছু নেই। তাই পরিপূর্ণতার জন্য আমাদের সমন্বয় প্রয়োজন। সমন্বয়টা আরও সুন্দরভাবে, সুষ্ঠুভাবে করতে পারলেই কিন্তু আমরা ঢাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলরদের কাছ থেকে যেসব অভিযোগ উপস্থাপিত হয়েছে, তাদের সেসব বক্তব্যে নতুন করে যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা করা হচ্ছে; সেখানে সন্নিবেশ হবে এবং রাজউক সফলভাবে একটি পরিপূর্ণ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারবে।
রাজউকের নিয়ন্ত্রণে থাকা খেলার মাঠ, শিশুপার্ক ও জলাশয় ডিএসসিসির কাছে হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ঢাকাকেন্দ্রিক বিশেষ কয়েকটি বিষয় যেমন খেলার মাঠ, শিশুপার্ক, জলাশয়- রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন সিটি করপোরেশনের কার্যাবলির মধ্যে পড়ে। একইভাবে শিশুপার্ক, বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত স্থান পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করবে সিটি করপোরেশন। এ-সংক্রান্ত যে জরিপগুলো আপনাদের কাছে আছে বা যে এলাকাগুলো আপনারা চিহ্নিত করেছেন, সেগুলো যদি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন, তাহলে আমরা ঢাকাবাসীর কল্যাণে সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারব।
এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনোকিছুই টেকসই করা সম্ভব না। এতদিনের যে পরিকল্পনা ছিল, এখানে বসে অনুভব করলাম, বুঝতে পারলাম যে, জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া অনেককিছুই হয়ে গেছে ইতোপূর্বে। যে কারণে সেগুলো টেকসই করা সম্ভব হয়নি। যদিও বলা হচ্ছে, এর আগেও আমরা জনগণের সঙ্গে ইন্টার-অ্যাকশন করেছি। কিন্তু আজ আমার মনে হচ্ছে খুব গভীরভাবে, বিস্তারিতভাবে, শাখা-প্রশাখায় প্রসারিত হয়ে প্রত্যেকটা সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সেগুলোর সম্ভাব্য কী সমাধান হতে পারে আজকের আলোচনা থেকে তা উঠে এসেছে।
সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমান উল্লাহ নুরী বক্তব্য রাখেন। এছাড়া রাজউক সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আজহারুল ইসলাম খান, ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এএস/বিএ/পিআর