জোড়া আঘাতে উড়ন্ত সূচনা বাংলাদেশের


প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

প্রাণ আপ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেওয়া ২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলছিল। ৪ ওভারেই তারা ২২ রান তুলে দারুণ জবাব দিচ্ছিল। তবে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দারুনভাবে খেলায় ফিরে আসে বাংলাদেশ।

অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা চামু চিবাভা। ম্যাসের সামান্য ইন সুইঙ্গার ধরণের বল ঠিক ভাবে খেলতে না পারায় ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান এই জিম্বাবুইয়ান।  এর আগে আরাফাত সানির করা দলীয় পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান চাকাভেকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ৬ ওভার শেষে দুই উইকেটে ২৭ রান। শেন উইলিয়ামস ৪ আর ক্রেইগ আরভিন ০ রান নিয়ে ব্যাট করছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা ইমরুল কায়েস এবং শেষ দিকে নাসির হোসেনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ২৪২ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কোনো বড় জুটি গড়তে না পারায় এদিন বড় স্কোর গড়তে পারেনি টাইগাররা।

সোমবার দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশ দলকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা। এদিন তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামেন ইমরুল কায়েস। প্রায় আটমাস পর ওয়ানডে দলে খেলতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেন এই ওপেনার জুটি।

pran-upইনিংসের সপ্তম ওভারে দলীয় ৩২ রানে পানিয়াঙ্গারার বলে চিবাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম (১৯)। চার ওভার পর লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৭ রান করে পানিয়াঙ্গারার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন।

এরপর ইমরুলের সঙ্গে ব্যাটিং করতে নামেন মাহমুদউল্লাহ(৪)। তবে ক্রেমারের করা ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটরক্ষক চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।

এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান, দেশে সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ইমরুল। তবে ২৮তম ওভারে ক্রেমারের বল ড্রাইভ করতে গেলে তা ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ডম্যানে চলে যায়। উড়ে আসা বল তালুবন্দী করতে কোনো ভুল করেননি জংউই। আউট হবার আগে ২৮ বলে ২১ রান করেন মুশফিক।

মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ইমরুল। আশা জাগিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। শেন উইলিয়ামসের ফুলটস বল লং অফে ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকভাবে সংযোগ না হওয়ায় ক্রেমারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউট হবার আগে দলের হয়ে মূল্যবান ৭৬ রান সংগ্রহ করেছেন এই টাইগার। ৮৯ বলে ৬টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি।

ইমরুলের বিদায়ের পর ইনিংসের হাল ধরেন সাব্বির রহমান এবং নাসির হোসেন। তবে দলীয় ১৯৩ রানে জংউইর আফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। ৪০ বল মোকাবেলা করে ৩৩ রান করেন এই নবীন তারকা। এরপর অধিনায়ক মাশরাফি ১৩ রান যোগ করে মুজারাবানির বলে বিদায় নেন।

এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখান নাসির। তবে মিড উইকেটের উপর দিয়ে সিমানা পার করতে গিয়ে আরভিনের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় সে স্বপ্ন। ৫৩ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন নাসির। শেষদিকে আর কেউ রান করতে না পারলে ২৪১ এ শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের পক্ষে পানিয়াঙ্গারা নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।

আরটি/এমআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।