পাট উৎপাদনে জোর দিয়েছে সরকার


প্রকাশিত: ০৩:৪৯ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

দেশে পাটের তৈরি থলে তৈরি করতে যে পরিমাণ কাচাঁ পাটের প্রয়োজন হয় তার অর্ধেকও মজুদ নেই। ফলে কাঁচা পাটের অভাবে আবারও পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনে সয়লাব হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পাটের থলে তৈরি করতে ৮০ লাখ মণ পাটের প্রয়োজন হলেও মজুদ রয়েছে মাত্র ৩০ লাখ মণ। এ পরিস্থিতিতে এক মাসের জন্য সকল প্রকার কাঁচা পাট রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এদিকে এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য জোর নির্দেশ দিয়েছেন। সে নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যার সুফল অতিদ্রুত পাওয়া যাবে বলে আশা করি।

মির্জা আজম আরও বলেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কে বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছয়টি পণ্যে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়-সীমা বেধে দেয়া হয়েছে। দেশের পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি আগামী এক মাস সকল প্রকার কাঁচা পাট রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশের প্রয়োজনীয় কাচাঁ পাটের মজুদ যেখানে নেই সেখানে বিদেশে পাট রফতানি করার কোন যৌক্তিক কারণ নেই।

উল্লেখ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন-২০১০’ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬ টি পণ্যে পাটজাত থলের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়-সীমা নির্ধারণ করে দেয়। আর মন্ত্রণালয়ের অপর এক নির্দেশে গত ৩ নভেম্বর থেকে একমাস কাঁচা পাট রফতানির ওপর নিষেধাঙ্গা আরোপ করা হয়।

আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।