নীলফামারীতে গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
নীলফামারীর ডিমলায় রোজিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে মেয়ের বাবা দাবি করেছে তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। অন্যদিকে, শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলছে তাকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে।
জানা যায়, নাউতরা ইউনিয়নের নাউতরা গ্রামের তৈয়ব আলীর মেয়ে রোজিনা আক্তারের সঙ্গে গয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ী গ্রামের আলী আহম্মেদের ছেলে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। রোজিনা রফিকুল ইসলামের ২য় স্ত্রী। তার সংসারে ৪ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
রোজিনার স্বামী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা আলী আহম্মেদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কারণে বাড়ির পাশে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে আদালতে মামলা চলছে। রোববার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার কারণে পার্শ্ববর্তী আমজাদ হোসেন ও তার দুই ছেলে কিসমত আলী (২৫) ও আসমত আলী (২২) বাড়িতে এসে রোজিনা আক্তারকে হত্যা করে লাশ ঘরের মধ্যে ঝুলে রেখে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে ওই গৃহবধূর বাবা তৈয়ব আলী জাগো নিউজকে অভিযোগ করে জানায়, যৌতুকের টাকা ও সতীনের মেয়ে রোমানাকে নিয়ে জামাতা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। রোজিনার স্বামী রফিকুল ইসলাম তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ৪ বছর আগে বিয়ে হয় পারভিন আক্তারের। পারভিন আক্তার ৩ বছরের মেয়ে রোমানাকে রেখে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে।
এলাকাবাসী আরো জানায়, রোমানাকে ঠিকমত দেখাশুনা ও খেতে দিতো না রোজিনা। এ নিয়ে রোজিনার সঙ্গে স্বামীর দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। শনিবার রাতে রোমানাকে ভাত খেতে দেয়নি রোজিনা। রোববার সকালে এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে ক্ষেতে কাজ করতে যায়। পরে বাড়িতে এসে দেখে রোজিনার লাশ ঘরে ঝুলছে।
ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন খান জাগো নিউজকে বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য জেলার মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
জাহেদুল ইসলাম/এসএস/পিআর